১৭ বছর বয়সে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে পথচলা শুরু। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পরও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ঠিকানা পেতে লেগে গেল প্রায় ৯ বছর। দীর্ঘ অপেক্ষার পর যখন সুযোগটা মিলল, স্মরণীয় করে রাখলেন জ্যাকব ডাফি। অভিষেকে দেশের হয়ে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়ে এই পেসার জেতালেন নিউ জিল্যান্ডকে।
Published : 18 Dec 2020, 03:47 PM
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ডের জয় ৫ উইকেটে।
অকল্যান্ডে শুক্রবার নিজের প্রথম ওভারেই উইকেটের স্বাদ পান ডাফি। পরের ওভারে নেন দুটি! পাকিস্তানের ব্যাটিং এলোমেলো হয়ে পড়ে শুরুতেই। পরে ঘুরে দাঁড়িয়ে তারা ২০ ওভারে তোলে ১৫৩ রান।
টিম সাইফার্টের ফিফটি ও মিডল অর্ডারের কার্যকর ব্যাটিংয়ে কিউইরা লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ৭ বল বাকি রেখে। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনসহ এই ম্যাচে বিশ্রামে ছিলেন নিউ জিল্যান্ডের একগাদা ক্রিকেটার।
ডাফি নেন ৩৩ রানে ৪ উইকেট। এই প্রথম নিউ জিল্যান্ডের কোনো বোলার টি-টোয়েন্টি অভিষেকে পেলেন ৪ উইকেটের দেখা। ন্যাথান অ্যাস্টল ও জিতান প্যাটেলের ২০ রানে ৩ উইকেট ছিল অভিষেকে আগের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।
ইডেন পার্কে সাধারণত টস জিতে পরে ব্যাটিং করতেই বেশি পছন্দ করে দলগুলি। বাবর আজমের চোটে নেতৃত্ব পাওয়া শাদাব খান চ্যালেঞ্জ নেন আগে ব্যাটিংয়ের। কিন্তু পাওয়ার প্লেতেই হারিয়ে বসে তারা ৪ উইকেট।
আব্দুল্লাহ শফিককে শূন্য রানে ফিরিয়ে ডাফি শুরু করেন শিকার। পরে প্রথম বলেই ফেরান অভিজ্ঞ মোহাম্মদ হাফিজকে। ওপেনিংয়ে নামা মোহাম্মদ রিজওয়ান চেষ্টা করছিলেন পাল্টা আক্রমণের। ডাফি থামান তাকেও (১৭ বলে ১৭)।
অধিনায়ক শাদাব সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়ে উদ্ধার করেন দলকে। সঙ্গে কার্যকর অবদান রাখেন ইমাদ ওয়াসিম, ফাহিম আশরাফরা।
৩২ বলে ৪২ রান করা শাদাবকে ফিরিয়ে ডাফি পান চতুর্থ উইকেট। তবে ওই ওভারে তিন ছক্কা হজম করায় একটু বিবর্ণ হয় তার বোলিং ফিগার।
ইমাদ করেন ১৪ বলে ১৯, ফাহিম ৩ ছক্কায় ১৮ বলে ৩১। শেষ ৬ ওভারে পাকিস্তান তোলে ৭০ রান।
ব্যাটিংয়ের শেষটা ভালো করে উজ্জীবিত পাকিস্তান বোলিংয়ের শুরুতেও চেপে ধরে নিউ জিল্যান্ডকে। মার্টিন গাপটিলকে দ্রুত ফেরান শাহিন শাহ আফ্রিদি। ডেভন কনওয়ে ফিরতি ক্যাচ দেন হারিস রউফকে। ৪ ওভারের মধ্যেই নিউ জিল্যান্ড হারায় ২ উইকেট।
সাইফার্ট ও গ্লেন ফিলিপস প্রতিআক্রমণে সরিয়ে দেন শুরুর চাপ। সাইফার্ট ফিফটি স্পর্শ করেন ৩৫ বলে।
ফিলিপস ফেরেন ১৮ বলে ২৩ রান করে। শাহিন আফ্রিদি দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে সাইফার্টকে থামান ৫৭ রানে। তবে মার্ক চাপম্যান দলকে পথে রাখেন ২০ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে।
শেষ দিকে রান-বলের সমীকরণ কঠিন হতে না দিয়ে দলকে জয় এনে দেন জিমি নিশাম ও মিচেল স্যান্টনার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৫৩/৯ (রিজওয়ান ১৭, শফিক ০, হায়দার ৩, হাফিজ ০, শাদাব ৪২, খুশদিল ১৬, ইমাদ ১৪, ফাহিম ৩১, ওয়াহাব ৯, আফ্রিদি ১০*, রউফ ০*; স্যান্টনার ৪-০-১৮-০, ডাফি ৪-০-৩৩-৪, কুগেলাইন ৪-০-২৭-৩, সোধি ৪-০-৩৭-১, টিকনার ৪-০-৩৫-০)।
নিউ জিল্যান্ড: ১৮.৫ ওভারে ১৫৬/৫ (গাপটিল ৬, সাইফার্ট ৫৭, কনওয়ে ৫, ফিলিপস ২৩, চাপম্যান ৩৪, নিশাম ১৫*, স্যান্টনার ১২*; আফ্রিদি ৪-০-২৭-২, ইমাদ ২-০-১৪-০, রউফ ৪-০-২৯-৩, ফাহিম ৩-০-১৮-০, ওয়াহাব ৩.৫-০-৪৫-০, শাদাব ২-০-২২-০)।
ফল: নিউ জিল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে নিউ জিল্যান্ড ১-০তে এগিয়ে
ম্যান অব দা ম্যাচ: জ্যাকব ডাফি