কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সাড়ে ৬ মাস ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে বাংলাদেশ। সামনেও কবে খেলা, ঠিক নেই কিছু। ম্যাচ না খেলার হতাশা যেমন আছে, তেমনি মন্দের ভালোর দিকটিও দেখালেন রাসেল ডমিঙ্গো। বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ জানালেন, ম্যাচ না থাকার সুযোগে ক্রিকেটারদের স্কিল শাণিত করার কাজ চলছে নিবিড়ভাবে। উদাহরণ দিলেন তিনি সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুস্তাফিজুর রহমানদের দিয়ে।
Published : 02 Oct 2020, 06:19 PM
বাংলাদেশ সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে গত ১১ মার্চ, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। পরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের একটি রাউন্ড হয়েই বন্ধ হয়ে গেছে দেশে সব ধরনের ক্রিকেট। এরপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছে কয়েকটি দেশ। বাংলাদেশের এখনও ফেরা হয়নি। শ্রীলঙ্কা সফর দিয়ে ফেরার সম্ভাবনা ছিল, সেই সফর পিছিয়ে গেছে দুই দফায়।
খেলা না থাকলেও চলছে অনুশীলন। ব্যক্তিগত দিয়ে শুরুর পর নানা ধাপ পেরিয়ে এখন জৈব-সুরক্ষা বলয়ে চলছে অনুশীলন পর্ব।
কিন্তু সামনে যখন কোনো খেলা নেই, ক্রিকেটারদের ভেতর তাড়না জাগিয়ে তোলার কাজটি হয়ে ওঠার কথা ভীষণ কঠিন। অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার ডমিঙ্গো বললেন, এজন্যই অনুশীলন বৈচিত্রময় করার চেষ্টা করছেন তারা।
“এটা চ্যালেঞ্জ অবশ্যই। এজন্যই ট্রেনিংয়ের ধরনে খুব উদ্ভাবনী হতে হবে। অনেক বড় একটি গ্রুপ নিয়ে অনুশীলন হচ্ছে এখন। নানা কিছু চেষ্টা করা, ম্যাচ খেলা, এসব করতে হবে। প্রতিদিনই মাঠে গিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য ছাড়া ট্রেনিং করা খুবই চ্যালেঞ্জিং।”
“এই সময়টা আমাদের সুযোগ করে দিচ্ছে ক্রিকেটারদের স্কিল নিয়ে কাজ করার। টেকনিক্যাল দু-একটি পরিবর্তন করা বা কোনো দিক নিয়ে আলোচনা করতে পারছি, ম্যাচ থাকলে সাধারণ যে সুযোগ হয়ে ওঠে না। ম্যাচের চাপ না থাকার সুবিধা এটি। ক্রিকেটারদের টেকনিকে এখন প্রভাব রাখার মতো কিছু করা যায়। কারণ, সামনে কোনো খেলা নেই। কিছু সুবিধা তাই আছে।”
যাদের টেকনিক ঝালাই করার কাজ চলছে, তাদের কয়েকজনের কথা নির্দিষ্ট করেই জানালেন বাংলাদেশ কোচ।
“সাদমানের উদাহরণ দেওয়া যায়। আমরা ওর স্টান্স একটু বদলে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ওর ব্যাক সুইং…স্টান্সে খুব আপরাইট ছিল ও, আমরা চেষ্টা করছি ওর ব্যাট আরেকটু মাটির দিকে রাখার। এতে ওর ব্যাট আরেকটু ওপরে উঠবে এবং শটে জোর একটু বাড়বে। এটা ছোট্ট একটি উদাহরণ। ম্যাচ খেলার সময় এই ধরনের পরিবর্তন করা খুবই কঠিন। এই ধরনের পরিবর্তনে মানিয়ে নিতে দুই সপ্তাহ থেকে এক মাসও লেগে যায়।”
“স্পিন খেলার সময় শান্তর মাথা নড়ে যেত, আমরা আরেকটু সোজা করার চেষ্টা করেছি। এই ধরনের টেকনিক্যাল কাজ করার ভালো সময় এখন। আমরা সন্তুষ্ট যে এটি করতে পারছি।”
মুস্তাফিজের টেকনিক্যাল স্কিলে উন্নতির কথাও জানালেন কোচ। গত মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টের সময় ডমিঙ্গো বলেছিলেন, টেস্টে ফিরতে হলে ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য বল ভেতরে আনার স্কিল রপ্ত করতে হবে মুস্তাফিজকে। এই বাঁহাতি পেসারকে নিয়ে আশার কথা শোনালেন কোচ।
“ওটিস (বোলিং কোচ গিবসন) কাজ করছে মুস্তাফিজের সঙ্গে। মুস্তাফিজ যেন ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য বল ভেতরে ঢোকাতে পারে, সেটি নিয়ে কাজ করার সময় পাচ্ছে। সে কালকে নতুন বলে বল করবে (চলতি অনুশীলন ম্যাচে), আশা করি কাজের কিছুটা দেখতে পাব। নেটে নিশ্চিতভাবেই আমরা তা করতে দেখছি। আশা করি সে আরও উন্নতি করতে পারবে।”