সব ঠিকঠাক থাকলে রোববার শ্রীলঙ্কার বিমানে ওঠার কথা ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। অথচ তার আগের দিনও কেউ জানে না, সফরটি আদৌ হবে কিনা। আপাতত রোববার থেকেই ক্রিকেটারদের অনুশীলনে বিরতি দেওয়া হচ্ছে তিন দিন। বিসিবির আশা, এই সময়ের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে।
Published : 26 Sep 2020, 05:03 PM
সপ্তাহ দুয়েক ধরেই অবশ্য বিসিবি এই একই চক্করে আছে, ‘হচ্ছে’ বা ‘হবে’ কিংবা ‘দুই-তিন দিনের মধ্যেই হয়ে যাবে।’ কিন্তু এখনও হয়ে উঠছে না কিছুই। কারণ, শ্রীলঙ্কা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি নতুন কিছু। জৈব-সুরক্ষা বলয়ে থাকা ক্রিকেটারদের অনুশীলনে তাই আপাতত বিরতি দেওয়া হচ্ছে, জানালেন বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান।
সফর শুরুর সময় যত পিছিয়ে যাচ্ছে, তাতে সফর আরও অনিশ্চয়তায় পড়ার কথা। তবে আকরাম জানালেন, আপাতত পিছিয়ে গেলেও সমস্যা নেই।
“আমরা তিন দিনের বিরতি দিয়েছি। তিন দিন পর আবার অনুশীলন চলবে। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে আমরা আশা করছি শ্রীলঙ্কা থেকে কিছু জানতে পারব।”
গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, খুব বেশি সময় অপেক্ষা করবে না বিসিবি এবং একবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেলে আর পিছপাও হবে না বোর্ড। সফরে যেতে মরিয়া বলেই কি এখনও অপেক্ষা করে চলেছে বিসিবি? আকরাম দিলেন ব্যাখ্যা।
“আমরা মরিয়া নই। ব্যাপারটি হলো, এখন আমাদের হাতে সময় আছে, ওদের হাতেও আছে। ওরাই বারবার অনুরোধ করে আমাদেরকে বলছে যে ওদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বোঝাতে পারবে। এমন নয় যে ওরা চাচ্ছে না, আমরা জোর করে যাচ্ছি। মরিয়া হলে তো ওদের শর্ত মেনেই যেতে পারতাম। আমাদের তাড়াহুড়ো নেই।”
“আমাদের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হলো ক্রিকেটারদের ভালো থাকা, ওরা যাতে মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে না পড়ে এবং ওদের কাছ থেকে সেরা পারফরম্যান্সটা যেন বের করে আনতে পারি। গিয়ে যেন ভালো পারফর্ম করতে পারি, সেটি নিশ্চিত করার জন্য যা দরকার, আমরা করব।”
সফর শেষ পর্যন্ত না হলে বিকল্প পরিকল্পনা নেওয়াই আছে, জানালেন আকরাম।
“প্র্যাকটিসে তিন দিনে বিরতি দিয়েছি আমরা, এর মধ্যে ফল চলে এলে তো হলোই। ক্রিকেটাররা টানা কিছুদিন প্র্যাকটিস করল, এমনিতেও বিরতি দরকার ছিল। আর সফর না হলে তো সভাপতি বলেছেন, একটা ঘরোয়া টুর্নামেন্ট হবে। কাজেই আমাদের প্ল্যান এ, বি, সি, সব করাই আছে।”