সুশান্ত শর্মার বলে বাউন্ডারি হাঁকালেন রকিবুল হাসান। বল বাউন্ডারির দিকে যেতে না যেতে উদযাপন শুরু করলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। পরে সামাল দিলেন নিজেকে। এগিয়ে এলেন অধিনায়ক আকবর আলী। মনে করিয়ে দিলেন, কাজ এখনও শেষ হয়নি। এমন পরিস্থিতি থেকে অনেকবারই ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। এবার তীরে এসে তরী ডোবেনি। স্নায়ু চাপ ধরে রেখে জিতে নিয়েছে যুব বিশ্বকাপ।
Published : 09 Feb 2020, 10:33 PM
রকিবুল-আকবর যখন জয়সূচক রানটি নিলেন তখন কার আগে কে যাবেন, বাংলাদেশ দল যেন সেই প্রতিযোগিতায় নেমেছিল। ক্র্যাম্পের কথা ভুলে পারভেজ হোসেনও দৌড়ালেন সতীর্থদের সঙ্গে।
গ্যালারিতে তখন শুধু বাংলাদেশ! বাংলাদেশ! বাংলাদেশ! গর্জন। সারাটা দিন দলকে সমর্থন দিয়ে যাওয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা তখন বিশ্ব জয়ের আনন্দে ভাসছেন।
গত অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ১০৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১০১ রানে থমকে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজে আড়াইশর বেশি রান করে ভারতের বিপক্ষে হেরেছিল তারা।
ফাইনালেও এক সময়ে হাত থেকে ছুটতে বসেছিল ম্যাচ। লেগ স্পিনার বরি বিষ্ণুইয়ের ছোবলে এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন আকবর।
বাংলাদেশ ইনিংসের ৪১তম ওভার শেষে বৃষ্টি নামলে কিছুক্ষণের জন্য খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ১৭৭ রান তাড়ায় সে সময় দলটির স্কোর ছিল ৭ উইকেটে ১৬৩। ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে তারা পায় ৪৬ ওভারে ১৭০ রানের নতুন লক্ষ্য।
অর্থাৎ শেষ ৫ ওভারে ৭ রান। এই ধরনের বিরতিতে অনেকবার দিক হারিয়েছে বাংলাদেশ। এবার হারায়নি। বিচক্ষণ ক্যাপ্টেনের মতো হাল ধরেছিলেন আকবর। দেশকে প্রথম কোনো বৈশ্বিক শিরোপা জয়ের পর জানালেন, “স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। দুই বছরের কঠোর পরিশ্রমের ফল পেয়েছে বাংলাদেশ।”