রানের জন্য ছটফট করে ভালো শুরু বিসর্জন দেওয়ার নজির কম নেই সৌম্য সরকারের। তার মাশুল দিতে হয়েছে জাতীয় দলে জায়গা হারিয়ে। পায়ের নিচে মাটি পেতে তাই নিজের ব্যাটিংয়ের ধরন পাল্টে ফেলেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। উইকেটে টিকে থাকার মানসিকতা নিয়ে এনসিএলে সাফল্য পাওয়া এই তরুণ টেস্টেও রান পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।
Published : 18 Nov 2018, 06:47 PM
১০ টেস্টে ১৯ ইনিংসে ২৯.৩৬ গড়ে সৌম্যর রান ৫৫৮। সেঞ্চুরি নেই, চার ফিফটির সবচেয়ে বড়টিতে করেছিলেন ৮৬।
২০১৫ সালে টেস্ট অভিষেকের পর পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে তিনটি ম্যাচ খেলার পর এই সংস্করণে জায়গা হারান। ২০১৭ সালে দলে ফিরে খেলেন ৭ ম্যাচ। এই সময়ে ১৪ ইনিংসে দুটি ভাগ স্পষ্ট। প্রথম সাত ইনিংসে তুলে নিয়েছিলেন চারটি ফিফটি, পরের সাত ইনিংসে চারবার যেতে পারেননি দুই অঙ্কে।
ব্লুমফন্টেইনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৯ ও ৩ রানে আউট হওয়ার পর আবার জায়গা হারান টেস্ট দলে। নিজের ভালো ছন্দ, তামিম ইকবালের চোট আর লিটন দাসের ব্যর্থতায় আবার ডাক মেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দলে।
এখনও টেস্ট দলের সঙ্গে যোগ দেননি সৌম্য। সফরকারীদের বিপক্ষে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছেন চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে। প্রথম দিনের খেলা শেষে সাংবাদিকদের সৌম্য জানান, এনসিএলের মতো টেস্টেও খেলতে চান লম্বা সময় ক্রিজে থাকার মানিসকতা নিয়ে।
“টেস্ট দলে অনেকদিন পর সুযোগ পেয়েছি। যেখানেই ব্যাটিং করার সুযোগ পাই চেষ্টা করব উইকেটে সময় কাটাতে।”
এনসিএলে এক সেঞ্চুরি আর চার ফিফটিতে সৌম্য ৬৭.২৮ গড়ে করেন তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৭১ রান। প্রথম শ্রেণির এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলার সময়ে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ওয়ানডে প্রস্তুতি ম্যাচ ও সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে করেছিলেন সেঞ্চুরি।
রানে থাকার এই সময় যতটা সম্ভব বড় করতে চান সৌম্য। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান জানান, কাজ করেছেন মূলত মনঃসংযোগ নিয়ে।
“মাঝখানে ব্যাটিংয়ে আসলে তেমন কিছুই করিনি, খেলাই চলছিল। একটাই পরিকল্পনা ছিল উইকেটে বেশি সময় দেওয়া।”
“অনুশীলন বাড়িয়েছিলাম। যেহেতু জাতীয় লিগে স্পিন বেশি খেলতে হয় তাই বাঁহাতি স্পিন আর অফ স্পিন খেলার দিকে বেশি মনোযোগ ছিল।”
জাতীয় লিগে কখনও মিডল অর্ডারে, কখনও টপ অর্ডারে ব্যাটিং করেন সৌম্য। তামিম-লিটন না থাকায় চট্টগ্রাম টেস্টে হয়তো ওপেনিংয়ে নামতে হতে পারে। তার জন্যও সম্পূর্ণ প্রস্তুত তিনি।
“ব্যক্তিগতভাবে আলাদা কোনো পরিকল্পনা করিনি। যদি সেঞ্চুরি করে নিজের জায়গা পাকা করার কথা চিন্তা করি তাহলে নিজের উপরই চাপ বেশি আসবে। লক্ষ্য থাকবে সুযোগ পেলে উইকেটে বেশি সময় থাকার চেষ্টা। ইনিংস বড় করতে শুরু থেকে উইকেটে ভালোভাবে টিকে থাকতে হবে।”