এক ম্যাচ হাতে রেখেই চ্যাপেল-হ্যাডলি সিরিজ নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নারের শতক আর স্টিভেন স্মিথ, ট্র্যাভিস হেড ও মিচেল মার্শের তিন অর্ধশতকে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিউ জিল্যান্ডকে সহজেই হারিয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
Published : 06 Dec 2016, 05:31 PM
চেষ্টা করেছিলেন কেন উইলিয়ামসন ও জেমস নিশাম। তবে দলের ১১৬ রানের বড় হার এড়াতে পারেননি তারা।
ক্যানবেরার মানুকা ওভালে মঙ্গলবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ৩৭৮ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৪৭ ওভার ২ বলে ২৬২ রানে গুটিয়ে যায় নিউ জিল্যান্ড।
১১৫ বলে ১৪টি চার ও একটি ছক্কায় ১১৯ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন ম্যাচ সেরা ওয়ার্নার। চলতি বছর এটি তার ষষ্ঠ ও সব মিলিয়ে দশম শতক। এই বছর ওয়ার্নার ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান পাননি তিনটির বেশি শতক।
এক বছরে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবচেয়ে বেশি শতকের রেকর্ড এখন ওয়ার্নারের। ৫টি করে শতক রিকি পন্টিং (২০০৩ ও ২০০৭) ও ম্যাথু হেইডেনের (২০০৭)।
৮৫ ইনিংসে এল ওয়ার্নারের দশম শতক। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবচেয়ে কম ১২৫ ইনিংসে ১০ নম্বর শতক পেয়েছিলেন মার্ক ওয়াহ। ওয়ানডেতে সবচেয়ে কম ৫৫ ইনিংস লেগেছে দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি ককের।
অ্যারন ফিঞ্চের সঙ্গে ৬৮ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ভালো সূচনা এনে দেন ওয়ার্নার। তবে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেয় এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের সঙ্গে স্মিথের ১৪৫ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। দারুণ ব্যাটিং করা ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম।
আগের ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিং করা স্মিথ এবার ফিরেন ৭৬ বলে ৭২ রান করে। দ্রুত দুই থিতু ব্যাটসম্যান ফিরে গেলেও অস্ট্রেলিয়াকে চেপে ধরতে পারেনি অতিথিরা। শেষ ১০ ওভারে তারা দেয় ১২৬ রান, শেষ ৬ ওভারে ৮৯ রান।
ভালো শুরুর সুবিধা কাজে লাগিয়ে শেষ দিকে রীতিমত তাণ্ডব চালান হেড ও মার্শ। ৩২ বলে ৬টি চার ও দুটি ছক্কায় ৫৭ করে ফিরেন হেড। মার্শ অপরাজিত থাকেন ৭৬ রানে। তার ৪০ বলের বিধ্বংসী ইনিংসটি গড়া দুটি চার ও ৭টি ছক্কায়।
নিউ জিল্যান্ডের পেসার ম্যাটন হেনরি ১০ ওভারে ৯১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন। ৮০ রানে ১ উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। এই প্রথম কোনো ম্যাচে দলটির দুই বোলার ৮০ বা তার বেশি রান দিলেন।
নিউ জিল্যান্ডের শেষ সাত ব্যাটসম্যানের কেউ দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারেননি। কেউ ২০ পর্যন্তও যেতে পারেননি।
৪১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার প্যাট কামিন্স। জশ হেইজেলউড, মিচেল স্ট্যার্ক, জেমস ফকনার নেন দুটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ৩৭৮/৫ (ওয়ার্নার ১১৯, ফিঞ্চ ১৯, স্মিথ ৭২, হেড ৫৭, মার্শ ৭৬*, ওয়েড ১১, বেইলি ০*; হেনরি ০/৯১, বোল্ট ১/৮০, স্যান্টনার ১/৪৭, সাউদি ২/৬৩, গ্র্যান্ডহোম ১/৭৪, নিশাম ০/১২)
নিউ জিল্যান্ড: ৪৭.২ ওভারে ২৬২ (গাপটিল ৪৫, ল্যাথাম ৪, উইলিয়ামসন ৮১, নিশাম ৭৪, মানরো ১১, গ্র্যান্ডহোম ১২, স্যান্টনার ২, ওয়াটলিং ১৭, সাউদি ২, হেনরি ৭, বোল্ট ২; স্টার্ক ২/৫২, হেইজেলউড ২/৪২, কামিন্স ৪/৪১, হেড ০/৩১, ফকনার ২/৬৯, মার্শ ০/২৬)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ১১৬ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ডেভিড ওয়ার্নার