তলানির লড়াইয়ে হাফিজুরের ৭৪ রান, শামিমের ৪ উইকেট

তিন বছর পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ থেকে প্রথম বিভাগে নেমে গেল সিটি ক্লাব।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের অবনমন এড়ানোর লড়াইয়ে প্রথম ম্যাচেই শেষ হয়ে গেল সিটি ক্লাবের সব সম্ভাবনা। হাফিজুর রহমানের ফিফটির পর দুই বাঁহাতি স্পিনার ও দুই অফ স্পিনারের দারুণ বোলিংয়ে টিকে থাকার আশা বাঁচিয়ে রাখল গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমি।

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে মঙ্গলবার রেলিগেশন লিগের প্রথম ম্যাচে ৪১ রানে জিতেছে গাজী টায়ার্স। ১৭৩ রানের লক্ষ্যে ৬৯ বল বাকি থাকতেই ১৩১ রানে গুটিয়ে গেছে সিটি ক্লাব।

প্রাথমিক পর্বে দুই দলই জিতেছিল দুটি করে ম্যাচ। এবার রেলিগেশন লিগের জয়ে অবনমন এড়ানোর সম্ভাবনা উজ্জ্বল হলো নবাগত গাজী টায়ার্সের। এই ম্যাচ হেরে তিন বছর পর প্রথম বিভাগে নেমে গেল সিটি ক্লাব। নিজেদের শেষ ম্যাচে রুপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে তারা জিতলেও হেড টু হেডের জটিল সমীকরণ এড়িয়ে অবনমন ঠেকাতে পারবে না।

ছোট রানের ম্যাচে গাজী টায়ার্সের নায়ক শামিম মিয়া। ১০ ওভারে দুই মেইডেনসহ স্রেফ ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। আরেক বাঁহাতি স্পিনার আরিদুল ইসলাম সমান রান খরচায় পেয়েছেন ২ উইকেট। দুই অফ স্পিনার ইফতেখার সাজ্জাদ ও লিওন ইসলামের ঝুলিতে গেছে ২টি করে উইকেট।

বোলারদের লড়াই করার পুঁজি এনে দেওয়ার কারিগর হাফিজুর রহমান। চার নম্বরে নেমে ১২৯ বলে তিনি করেছেন ৭৪ রান। ২ চার ও ১ ছক্কা মেরেছেন তিনি।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারায় গাজী টায়ার্স। আরও একবার হতাশ করেন গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে আলো ছড়ানো আশিকুর রহমান। ইফতেখার হোসেন, মহব্বত হোসেনরাও পারেননি কিছু করতে।

চতুর্থ উইকেটে দলের সর্বোচ্চ ৪২ রানের জুটি গড়েন হাফিজুর ও শামিম। ৩৭ বলে ২৩ রান করে আউট হন শামিম। এরপর আর কোনো জুটি গড়ে ওঠেনি। একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে দেড়শ পার করান হাফিজুর।

সিটি ক্লাবের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নেন মইনুল ইসলাম ও সোহেল রানা।

ছোট লক্ষ্যে শুরুতেই সিটি ক্লাবকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন শামিম। দ্বিতীয় ওভারে হাসানুজ্জামানকে আউট করেন তিনি। পরে দলের সর্বোচ্চ ৩৭ রান করা আরেক ওপেনার সাদিকুর রহমানকেও ফেরান বাঁহাতি স্পিনার।

এরপর জয়রাজ শেখ, শাহরিয়ার কোমল, আশিক উল আলমরা ছোট ছোট ইনিংসে দলকে এগিয়ে নেন। কিন্তু কেউই ইনিংস বড় করতে না পারায় তা দলের তেমন কোনো কাজে লাগেনি।

স্রেফ ২৪ রানে শেষের ৭ উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় সিটি ক্লাব।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমি:৪৭.৩ ওভারে ১৭২ (ইফতেখার হোসেন ২, মহব্বত ১২, আশিকুর ২৩, হাফিজুর ৭৪, শামিম ২৩, তাহজিবুল ৪, আশরাফুল ১০, ইফতেখার সাজ্জাদ ১, আরিদুল ৭, ইকবাল ২, লিওন ২*; ইফরান ৯.৩-০-৪৮-২, রনি ১০-১-২২-০, মইনুল ১০-০-৪৬-৩, সোহেল ৯-১-১৯-৩, রাফসান ৯-০-৩০-১)

সিটি ক্লাব:৩৯.৩ ওভারে ১৩১ (সাদিকুর ৩৭, হাসানুজ্জামান ১, শাহরিয়ার ২৬, জয়রাজ ২৯, আশিক ২২, সাজ্জাদুল ৫, রাফসান ৫, মইনুল ০, ইফরান ০, রনি ১, সোহেল ১*; ইকবাল ৬-০-৩৫-০, শামিম ১০-২-২১-৪, লিওন ৫.৩-২-২১-২, ইফতেখার সাজ্জাদ ৮-০-৩২-২, আরিদুল ১০-২-২১-২)

ফল:গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমি ৪১ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ:শামিমমিয়া