মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান উন্নত করতে তরঙ্গ (স্পেকট্রাম) নিলাম প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে বিটিআরসিকে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
Published : 08 May 2017, 09:37 PM
টেলিযোগাযোগ বিভাগে উপদেষ্টা জয়
‘প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা’ পেতে ফি গুনতে হবে অপারেটরদের
তরঙ্গ নিলাম: ভিত্তিমূল্য ও শর্ত নির্ধারণে চিঠি বিটিআরসিকে
তরঙ্গ নিলামের সময় আবার পেছাল বিটিআরসি
মোবাইল ফোনের চতুর্থ প্রজন্মের প্রযুক্তির (ফোর জি) সেবা দ্রুত চালু করতেও তাগিদ দেওয়া হয়েছে একটি সভায়।
টেলিযোগাযোগ খাতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ের আলোচনায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে বৈঠকে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
সোমবার সচিবালয়ে বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বিকাল ৩টা ২৫ মিনিটে থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা এ বৈঠক চলে।
বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে বলেন, “আমাদের প্রচুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ থেকে দ্রুত ফোর-জি ও টেক নিউট্রালিটি (প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা) চাচ্ছিলাম, কারণ অপারেটরা বলছিল তাদের স্পেকট্রাম (তরঙ্গ) স্বল্প আছে বলে কোয়ালিটি অব সার্ভিস এনশিওর করতে পারছে না।”
উপদেষ্টা দ্রুততার সঙ্গে তরঙ্গ নিলামের কথা বলেছেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এ ব্যাপারটি দ্রুততার সাথে চাচ্ছি, অপারেটররা দ্রুততার সাথে স্পেকট্রাম কিনুক। কোয়ালিটি সার্ভিস তারা উন্নত করুক।”
অপারেটরদের দাবির মুখে বাড়তি টু জি ও থ্রি জি তরঙ্গ (স্পেকট্রাম) বরাদ্দের জন্য নিলামের সময় পরপর দুইবার পিছিয়ে ২০১৫ সালের মে মাসে নিলামের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ায় বিটিআরসি।
তরঙ্গ নীতিমালা সংশোধন করে নতুন নীতিমালায় পরবর্তী নিলামের দিন জানানো হবে বলে সে সময় জানিয়েছিল বিটিআরসি।
বিটিআরসির কাছে থাকা এক হাজার ৮০০ মেগাহার্টজের অব্যবহৃত ১০ দশমিক ৬ মেগাহার্টজ এবং থ্রি জির ১৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ মোবাইল অপারেটরদের কাছে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
তরঙ্গ নিলামে ভিত্তিমূল্যে ও শর্ত নির্ধারণ চূড়ান্ত না করায় বাড়তি টু জি ও থ্রি জি তরঙ্গ নিলাম প্রায় দুই বছর ধরে ঝুলে আছে।
এ বিষয়ে বিটিআরসিক কয়েকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরাও বারবার এ বিষয়ে বিটিআরসিকে চিঠি দিয়েছিলাম আগে। এখন পুনর্বার উপদেষ্টাও বলেছেন, এ বিষয়টিতে টেলিযোগাযোগ বিভাগ যে মনোযোগ দিয়েছে সেটা ঠিক আছে, দ্রুততার সাথে স্পেকট্রামটা অকশন বা বিক্রি হওয়া উচিৎ।”
সেবার মান উন্নত করা টেলিযোগাযোগ বিভাগের অন্যতম লক্ষ্য জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা টাইম টু টাইম বিটিআরসিকে তাগাদা দিয়েছি। আজকে পুনরায় আমরা বলেছি। এই সমস্যাটা দ্রুত সমাধান করতে হবে। সেবার মান অপারেটরদের উন্নত করতেই হবে।
“স্পেকট্রাম বিক্রির উদ্যেগ নেওয়ার পর অপারেটরটা যদি না কেনে, কোয়ালিটি অব সার্ভিস ইমপ্রুভ না করে, তাহলে সে দায় আমাদের না।”
খুব শিগগিরই ফোর জি
মোবাইল ফোনের চতুর্থ প্রজন্মের প্রযুক্তির (ফোর জি) সেবা দিতে শিগগির ঘোষণা আসবে জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, দুই এক মাসের মধ্যে ফোর-জি আসবে।
“সামনে মাসের ১১ তারিখের মধ্যে বিটিআরসিকে ফোর-জি গাইডলাইন টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।”
বৈঠকে টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, টেলিযোগাযোগ বিভাগের দপ্তরগুলোর প্রধান ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইএসপি লাইসেন্স মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব
সভায় উপস্থিত ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে জানান, ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের (আইএসপি) লাইসেন্স মূল্য বৃদ্ধির বিষয় বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
বিটিআরসি এ বিষয়ে লাইসেন্স মূল্য নির্ধারণ করে টেলিযোগাযোগ বিভাগে প্রস্তাব পাঠাবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।