যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সকল শর্ত পূরণের পরও তৈরি পোশাক খাতে জিএসপি সুবিধা না পাওয়ার পেছনে ‘রাজনৈতিক কারণ’ থাকার ইঙ্গিত করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
Published : 03 Feb 2016, 06:31 PM
জাতীয় সংসদের বুধবারের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সাংসদ শামীম ওসমানের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ ইঙ্গিত দেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সকল শর্ত পূরণের পরেও তৈরি পোশাক খাতে জিএসপি সুবিধা না দেওয়াটা রাজনৈতিক কারণ ছাড়া আর কী হতে পারে?”
“টিকফা কখনোই কার্যকর হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা জিএসপি আদায় করতে পারব।”
তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ড ও রানা প্লাজা ধসে সহস্রাধিক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংগঠন ‘আমেরিকান অর্গানাইজেশন অব লেবার-কংগ্রেস ফর ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (এএফএল-সিআইও) এর আবেদনে ২০১৩ সালের ২৭ জুন বাংলাদেশের অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা বা জিএসপি সুবিধা স্থগিত করা হয়।
তার আগে জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্সেসের (জিএসপি) আওতায় বাংলাদেশ পাঁচ হাজার ধরনের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধায় রপ্তানি করতে পারত।
গত বছরের মাঝামাঝিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ১২২টি দেশের পণ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাজার-সুবিধা (জিএসপি) নবায়ন করা হলেও সেই তালিকায় আসেনি বাংলাদেশ।
শামীম ওসমানের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “জিএসপি সুবিধা পাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ১৭টি শর্তের সবই পূরণ করা হয়েছে।”
মাগুরা-১ আসনের সাংসদ এ টি এম আবদুল ওয়াহাবের একপ্রশ্নের জবাবে তোফায়ের বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা পাচ্ছে না। ২০১৩ সালের ২৭ জুন এই সুবিধা স্থগিত করা হয়েছে। এই সুবিধার আওতায় মোট রপ্তানির এক ভাগেরও কম মূল্যের পণ্য সুবিধা পেত। জিএসপি স্থগিত সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির প্রবাহ অব্যহত আছে।”
তিনি জানান, ইপিজেড এলাকায় ট্রেড ইউনিয়নের সুযোগ না থাকা সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শর্ত মেনে ট্রেড ইউনিয়নের আদলে ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিশেন গঠন করা হয়েছে।
“সরকার তৈরি পোশাক শিল্পের নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও কল্যাণ নিশ্চিত করেছে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধা না দেওয়ার যুক্তিসঙ্গত কোন কারণ নেই।”