Published : 14 Mar 2012, 09:44 PM
নিরাপত্তা জনিত কারণে নয়াপল্টন এলাকাজুড়ে খাবার হোটেলগুলোর প্রতি নিষেধাক্কা থাকায় ভোগান্তিতে পরতে হয় সমাবেশে আসা মানুষদের। এ দিকে একটি ব্যতিক্রম ঘটনা দেখা গেছে পল্টন এলাকা। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শিবিরের ছেলেরা দুপুরের দিকে কলা ও পাউরুটি বিলি করছিল। এ সময় পুলিশ এসে তাদের খাবার কেড়ে নিতে চায়। আক্রমণের শিকার হয়ে হঠাৎ করে তারা আল্লাহ- হু-আঁকবার বলে চিৎকার দেয়। ফলে হাজার হাজার শিবিরের নেতাকর্মী বেড়িয়ে এসে পুলিশকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়।
এছাড়া খালেদা জিয়া ২৯ মার্চ হরতালসহ আগামী তিন মাসের ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
এদিকে প্রচুর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও বাঁধা নিষেধাক্কা সত্ত্বেও পুলিশের বেঁধে দেয়া সীমানা ছাড়িয়ে গেছে। মহা সমাবেশের লোক উপস্থিতিতে সন্তুষ্ট হয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া।
এদিকে আওয়ামী লীগ থেকে জানানো হয় মহা সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামাত জঙ্গিবাদের মাধ্যমে নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল। এছাড়া আওয়ামী লীগ থেকে খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানের এজেন্ট ও আইএসআই'এর দালাল উল্লেখ করা হয়।
এদিকে ১২ই মার্চ বিএনপি সমাবেশে আসা জনগণ ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ সময় ধাওয়া পালটা খাওয়ার খবর পাওয়া যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় তারা সেখানে গুলির শব্দ পান।
এদিকে মহা সমাবেশে জামায়াত তাদের দাবি-দাওয়ার সাথে তাদের নেতাদের মুক্তি চান। জামায়াত থেকে দাবি করা হয় মিথ্যা মামলায় তাদের আটক রাখা হয়েছে।
এদিকে ঢাকা শহরে সরাসরি মহা সমাবেশ সম্প্রচার করার জন্য দুটি বেসরকারি টেলিভিশনের সংযোগ সরকার কর্তৃক বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে বিটিআরসি এ অভিযোগ অস্বীকার করে।
এদিকে ১১ই মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৮ টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায় নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এ বোমাগুলো জড়ো করা হয়।
এদিকে মহা সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া জোটে আরও ১০ টি নতুন দল অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দেন। জানা যায় দলগুলো হল: লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), কল্যাণ পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), বাংলাদেশ ন্যাপ, মুসলিম লীগ, ইসলামিক পার্টি ও ন্যাপ ভাসানী।
তথ্যসূত্রঃ bdnews24
আরিফ হোসেন সাঈদ
০৩/১৪/১২, নারায়ণগঞ্জ।