Published : 19 Sep 2016, 06:53 AM
ফুটবল নিয়ে বিস্ময়কর ক্রীড়াকৌশল দেখিয়ে দর্শকের মন জয় করে চলেছেন গাজীপুরের মফিজুল প্রধান। ফুটবল জাদুকর হিসেবে এলাকার মানুষ মফিজুলকে এক নামে চেনে। দীর্ঘ অনুশীলনের পর মাথায় বল নিয়ে সাঁতার কাটা, জামা কাপড় পরা, মাথায় ও হাতে বল রেখে একটানা হাঁটাসহ ফুটবল নিয়ে নিত্যনৈমত্তিক কাজ করে রীতিমত তাক লাগিয়ে দেন তিনি। এই ফুটবল অন্তপ্রাণ মানুষটি জীবনের মাঝ বেলায় এসে তাঁর প্রতিভার স্বীকৃতি চান।
ফুটবলের রাজা কালোমানিক শিরোনামে পাঠ্যবইয়ের ছবিতে কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের মাথার ওপর বল আর তার বাদাম খাওয়া দেখে আবাল্যেই ফুটবল ঘিরে রচিত হয় মফিজুলের ধ্যান, জ্ঞান আর সাধনা। গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম আমরাইদের বাসিন্দা মফিজুল গ্রামের স্কুল থেকে মেট্রিক পর্যন্ত পড়ালেখা করলেও ফুটবল নিয়ে একাগ্রতা আর দারিদ্রের কারণে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি। তবে দীর্ঘ অনুশীলনে মফিজ এখন ফুটবল নিয়ে অর্ধ শতাধিক চোখ ধাঁধানো কসরত দেখাতে পারেন। মাথায় বল নিয়ে একটানা ১০ কিলোমিটার হাঁটা, মাথায় একনাগাড়ে ৫০০ বার হেড করতে পারেন।
এছাড়া মাথায় ফুটবল নিয়ে সাঁতার কাটা, জামা কাপড় পরা, দুই হাতের আঙ্গুলে বল রেখে দীর্ঘ সময় ঘুরাতে পারেন। তার দক্ষ হাতের ছোঁয়ায় উদ্ভাবিত নিপুন ক্রীড়া কৌশলে মুগ্ধ এলাকার সাধারণ মানুষ। ফুটবল নিয়ে মফিজ যে সাধনা করছেন তা দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়বেন এমন প্রত্যাশা স্থানীয়দের । ফুটবল নিয়ে পুত্রের এমন মাতামাতিতে গর্বই বোধ করেন মফিজুলের মা ঝর্ণা বেগম।
এ যাবৎ দেশের প্রায় ৩৭টি জেলায় তিনি খেলা দেখিয়ে মুগ্ধ করেছেন হাজার হাজার দর্শককে। এজন্য জাতীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতাসহ তার মেধার স্বীকৃতির দাবি করেছেন তারা। ফুটবল নৈপূণ্য দেখিয়ে দেশের যুবকদের উদ্বুদ্ধ করতে চান মফিজুল। জীবনের মাঝবেলায় এসে তাই জাতীয় স্বীকৃতি চান তিনি।
বাংলাদেশের মাগুড়ার আব্দুল হালিম মাথায় বল নিয়ে সবচেয়ে বেশি দূরত্ব অতিক্রমের বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। ২০০৯ সালে এই রেকর্ড গড়েন মালয়েশিয়ার ই মিং লো। তাদের মতো করে ৪৬ বছর বয়সী মফিজুলও একদিন ফুটবলের ক্রীড়ানৈপূণ্য দেখিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়বেন এমন প্রত্যাশা সবার।
লেখকঃ সংবাদকর্মী, মাছরাঙা টেলিভিশন
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬