Published : 07 Jun 2015, 08:18 AM
অন্তর্জালের খোঁজে বিচরণ করতে করতে হঠাৎ নামক একটি ব্লগ আমার নজরে আসে, নাম 'ঠাকুরঘর'। তারপর চক্ষু চড়কগাছ! বিডিব্লগে আমাদের সম্মানিত অনেক ব্লগারের লেখা অন্য ব্লগারের নামে সেখানে প্রকাশ করা হয়েছে। লেখাগুলো পোস্ট করছে ঐ ব্লগের কয়েকজন তস্কর ব্লগার। জন্মপরিচয়হীন এ সকল নির্লজ্জ ব্লগারদের মধ্যে অন্যতম নাম 'ঠাকুর পো'। অতীব বিষ্ময়কর, কী অবলীলায় সে এই ব্লগের বিভিন্ন লেখা তার নিজের নামে সেখানে পোস্ট করছে।
আশ্চর্য, এই ব্লগের নীচে আবার সত্ত্বাধিকারনামায় বলা হয়েছে "লেখকের বা মন্তব্যকারীর অনুমতি বা সূত্রোল্লেখ বা কৃতজ্ঞতা স্বীকার ব্যতিরেকে লেখার বা মন্তব্যের আংশিক বা পূর্ণ অংশ কোন ধরনের মিডিয়ায় পুনঃপ্রকাশ করা যাবে না।" কী লজ্জা, কী লজ্জা!!
এক নজরে এই ব্লগের যে সকল লেখা সেখানে দেখলাম…
মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের 'সকল নারী ধর্ষি'তা নয়; সকল পুরুষ ধর্ষক নয়';
মোঃ গালিব মেহেদী খানের 'শিক্ষার নামে শিশু নির্যাতন';
মাহবুবুল আলমের 'ব্লগ ও ব্লগার- বিশেষ গোষ্ঠীর অপপ্রচার এবং ব্লগাররা কি আসলেই নাস্তিক?';
শফিকুল ইসলাম (শফিক) এর 'ধর্ষণঃ পোষাক, পুলিশ ও পরিসংখ্যান';
মোঃ আলাউদ্দীন ভুঁইয়ার 'যৌনতা যেখানে অজ্ঞতা, ধর্ষণ সেখানে জৈবিক অধিকার';
মাসুদ সজিবের 'রুখে দাঁড়ানোর সময় এখন'। … এ রকম আরো অনেকের লেখা ওখানে থাকতে পারে।
সত্যি, রুখে দাড়াবার এখনই সময়। আমার ও শফিক ভাইয়ের ধর্ষণের বিরোধী লেখাকেও এসব …..রা নির্দ্বিধায় ধর্ষণ করে দিলো! কিন্তু, কে এই 'ঠাকুর পো'? কারা এই 'ঠাকুরঘর'-এর নির্মাতা? এরা কার জন্ম 'নির্ণয় ন জানি'। এদের কী কোনো জবাবদিহিতা নেই? কেবল যে বিডিব্লগের লেখা কপি করে সেখানে পোস্ট করা হচ্ছে তা নয়, নামকরা আরও অনেক পত্রিকার, ব্লগের লেখাও সেখানে বিভিন্ন নামে পোস্ট করা হচ্ছে। একটু নজর দিলে বোঝা যায়, এ ব্লগের প্রায় সকল লেখাই সেকেন্ড হ্যান্ড। আমাদের কী কিছুই করার নেই? বিডিব্লগের কী কোন দায়িত্ব নেই এ বিষয়ে?
কিছু স্ক্রীনশটের মাধ্যমে আমি এ বিষয়টি বিডি ব্লগের সম্মানিত সকল ব্লগার, বিচক্ষণ, সজাগ বিডি ব্লগটিমের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি… আপনাদের কাছে আমাদের বিণীত অনুরোধ, আমরা বড় মানের লেখক না হতে পারি, কিন্তু, তস্কর নই। আমাদের মানসম্মানবোধ আছে, কাঙালের যে ধনটুকু আপনাদের জিম্মায় দিয়ে থাকি, সেই আমানত রক্ষা করে আমাদের বিশ্বাসের পূর্ণমর্যাদা দিবেন, এটাই কাম্য। আমরা এখনও আপনাদের উপর এতটুকুন আস্থা হারাইনি।
আমি অতি কৃতজ্ঞ হতাম, যারপরনাই আনন্দিত হতাম, যদি কোন ঠাকুরপো এই লেখাটিকেও কপি করে ওদের ঠাকুরঘরে ঝুলিয়ে দিতো।