শাহজালাল বিমানবন্দরে আটক তার সহযোগী আগের সপ্তাহে এক চালান পার করে পেয়েছিলেন ২০ হাজার টাকা।
Published : 15 Jan 2023, 10:45 PM
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুই কেজি সোনাসহ এক যাত্রী এবং বন্দরে সেবাদানকারী বেসরকারি কোম্পানির এক কর্মীকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ (এএপি)।
রোববার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার হওয়া ওই যাত্রীর পাসপোর্টে গত কয়েক বছরে দুবাইয়ে ৭০ বার যাতায়াতের তথ্য মিলেছে।
গ্রেপ্তার যাত্রীর নাম মো. জুয়েল (৩০)। তার সঙ্গে ধরা পড়েছেন শাহজালালে সেবাদানকারী গ্লোবাল এয়ারপোর্ট অ্যাসিসটিং সার্ভিসেসের কর্মী আমজাদ হোসেন (৩৭)। বেসরকারি এমন কোম্পানিগুলো যাত্রীদের ব্যগ বহনসহ নানাভাবে বিমানবন্দরের ভেতরে সেবা দিয়ে থাকে।
এএপির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, গ্রেপ্তার জুয়েলের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দিতে। তিনি দুবাইতে থাকেন।
“তার পাসপোর্টে গত কয়েকবছরে ৭০ বার যাতায়াতেও তথ্য পাওয়া গেছে।”
চোরাচালানটি ধরার বর্ণনা দিতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা জিয়াউল জানান, দুবাই থেকে আসা এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে রোববার সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকায় নামেন জুয়েল। বিমানবন্দরে নামার পর তিনি আগে থেকে যোগাযোগ করে রাখা আমজাদের সঙ্গে দেখা করেন। তখন আমজাদের কাছে একটি কালো রঙয়ের পাওয়ার ব্যাংক এবং টেপে মোড়ানো চারটি গোল্ডবার দেন জুয়েল।
“এপিবিএনের গোয়েন্দা দল সন্দেহের ভিত্তিতে তাদের নজরে রাখে এবং গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার পর তাদের দুজনকেই আটক করে। এসময় আমজাদের কাছে থাকা পাওয়ার ব্যাংকের ভিতরে লুকিয়ে রাখা ১০টি ও প্যান্টের পকেট থেকে আরও চারটি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। আর যাত্রী জুয়েলকে তল্লাশি করে আরও দুটি বার ও গয়নাসহ সবমিলিয়ে ১ হাজার ৯৫৫ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।”
জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল জানান, দুবাইয়ে অবস্থানরত কবির নামে একজন বাংলাদেশি প্রবাসীর কাছ থেকে জুয়েল এসব সোনা স্বর্ণ সংগ্রহ করেন। ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারলে মোটা অংকের টাকা পাওয়ার কথা তার৷
“এর আগেও তারা একই পদ্ধতিতে সোনা চোরাচালান করেছেন। এক সপ্তাহ আগের একটি চোরাচালানে সহযোগিতা করায় আমজাদ ২০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন।”
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।