এনআরবি–পিবিও সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মাননা পেলেন ২৫ জন

এর মধ্য দিয়ে শেষ হল তিন দিনের এনআরবি-পিবিও সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন।

শনিবার বিকেলে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এনআরবি-পিবিও সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মাননা দেওয়া হয়।

সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য এনআরবি-পিবিও সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মাননা পেয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত ২৫ জন বাংলাদেশি কবি, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিককর্মী।

শনিবার বিকেলে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এনআরবি-পিবিও সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের সমাপনী দিনে তাদের এই সম্মাননা দেওয়া হয়।

কথাসাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য আবদুন্ নূর, সাংবাদিকতায় সামগ্রিক অবদানের জন্য সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ ও রোকেয়া হায়দার এ সম্মাননা পেয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় ড. নুরুন নবী ও তাজুল মোহাম্মদ, শিল্প-সংস্কৃতিতে অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকার, রতন বসু মজুমদার, এস এম নুরুল আলম ও সেলিমা আশরাফ এবং চিত্রকলায় শিল্পী মনিরুল ইসলাম পেয়েছেন সম্মাননা।

নাটকে ঝর্ণা চৌধুরী, কবিতায় শামস আল মমীন, শিল্প-সংস্কৃতিতে শামস আহমেদ, চিত্রকলায় তাজুল ইমাম, সাংবাদিকতায় সৈয়দ নাহাস পাশা, নাটকে গোলাম সারওয়ার হারুন, সংগঠক হিসেবে কিরণময় মণ্ডল, গৌরী চৌধুরী, আহমেদ হোসেন, সিরাজুস সালেকিন ও কামরুন জিনিয়া, অনুবাদ সাহিত্যে আনিসুজ জামান এবং প্রবন্ধ বা গবেষণায় প্রবীর বিকাশ সরকার সম্মাননা পেয়েছেন।

বাংলা ভাষায় সাহিত্য রচনায় অবদানের জন্য বিদেশিদের মধ্যে নাওমি ওয়াতানাবে এবং প্রবাসী লেখকদের গ্রন্থ প্রকাশে অবদানের জন্য আগামী প্রকাশনীর ওসমান গনিকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

অনাবাসী বাংলাদেশি (এনআরবি) ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত (পিবিও) কবি সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিককর্মীদের নিয়ে গত বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মত এনআরবি-পিবিও সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন শুরু হয়।

স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটি ও সেন্টার ফর এনআরবি ফাউন্ডেশনের এ আয়োজনে সহযোগিতা দিয়েছে বাংলা একাডেমি।

সমাপনী অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর এনআরবি ফাউন্ডেশনরে প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এম ই চৌধুরী শামীম বলেন, এখন থেকে এনআরবি-পিবিও সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে হবে। প্রবাসীদের শিল্পকর্ম, সাহিত্য দেশে উপস্থাপন করা ও স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এ সম্মেলনের আয়োজন।

“প্রবাসীদের জন্য আমাদের দায় আছে। তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। ভারত, চীন, জাপান, সিঙ্গাপুর তাদের প্রবাসীদের নানাভাবে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগিয়েছে। আমরা পারিনি। এখন থেকে প্রবাসীদের আরও বেশি দেশের কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিতে হবে।”

অনুষ্ঠানে হাসান আল আবদুল্লাহর লেখা ‘আমার প্রিয় কবিতা’ এবং হাসান ফেরদৌসের লেখা ‘কাপুরুষ’ ও ‘সালভাদর দালির মিস বাংলাদেশ' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সংগীত পরিবেশন করেন তানভীর আলম সজীব।

সেন্টার ফর এনআরবি ফাউন্ডেশন ও স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী দিলারা আফরোজ খান রূপার সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, এমিরিটাস অধ্যাপক আতিউর রহমান, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য পবিত্র সরকার, মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক নুরুন নবী উপস্থিত ছিলেন।