ঢাকায় গভীর রাতে গুলি চালিয়ে দুজনকে হত্যার ঘটনায় সাংসদপুত্র বখতিয়ার আলম রনিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও সাত দিনের হেফাজতে চেয়েছে পুলিশ।
Published : 28 Jun 2015, 05:51 PM
চার দিনের রিমান্ড শেষে রোববার রনিকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই দীপক কুমার দাশ তৃতীয় দফায় রিমান্ডের আবেদন করেন।
রনির অসুস্থতার কথা বলে তার আইনজীবী শুনানি করতে রাজি না হওয়ায় ঢাকার মহানগর হাকিম আমিনুল হক ৩০ জুন শুনানির দিন ঠিক করে দেন।
এর আগে ২৪ জুন সাত দিনের হেফাজতের আবেদনে মহানগর হাকিম মাহবুবুর রহমান চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।আওয়ামী লীগের সাংসদ পিনু খানের ছেলে রনিকে তার আগেও চার দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
১৩ এপ্রিল রাত পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে একটি কালো রঙের প্রাডো গাড়ি থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী ও রিকশাচালক আবদুল হাকিম নিহত হন।
এ ঘটনায় নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে ১৫ এপ্রিল রাতে রমনা থানায় একটি মামলা করেন। পরে মামলাটির তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আসে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩১ মে মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পিনু খানের ছেলে রনি ও তার গাড়িচালক ইমরান ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতের অনুমতি মেলার পর ৯ জুন রনিকে চার দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
ওই রাতে মাতাল রনি যানজটে আটকা পড়ে গুলি ছুড়েছিলেন বলে তার গাড়িচালক ইমরান এবং ঘটনার সময় গাড়িতে থাকা রনির বন্ধু কামাল মাহমুদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এছাড়া ওই সময় গাড়িতে থাকা রনির আরেক বন্ধু টাইগার কামালও ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
৪২ বছর বয়সী রনির পিস্তলের গুলিতেই যে ওই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে, তা পরীক্ষা করে পুলিশও নিশ্চিত হয়েছে।