ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটি করপোরেশনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে জরুরি ভিত্তিতে নির্বাহী হাকিম নিয়োগ করতে বলেছে নির্বাচন কমিশন।
Published : 24 Mar 2015, 12:24 PM
নিয়ম ভেঙে আগাম প্রচার চালানোয় সোমবার পর্যন্ত তিন দিনে ঢাকায় দুই ডজন সম্ভাব্য প্রার্থীকে কারণ দর্শাতে বলার পর ইসির এই নির্দেশনা এলো।
সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে কমিশন বলছে, সিটি নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন ‘ব্যাপকভাবে’ পরিলক্ষিত হচ্ছে।
ঢাকার দুই ভাগে আচরণবিধি যথাযথ প্রতিপালন হচ্ছে কিনা তা তদারকিতে রয়েছেন নির্বাচনী কর্মকর্তরা। তবে তারা নোটিস দেওয়ার বাইরে কিছু করছেন না। আর বিধি লঙ্ঘনের ঘটনা দক্ষিণেই বেশি ঘটছে।
দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ বলেন, “পোস্টার-বিলবোর্ড না সরানোয় সোমবারও সাতজন সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।”
একজন নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, দক্ষিণ ভাগে সম্ভাব্য তিন মেয়র প্রার্থীকেও মৌখিকভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
কারণ দর্শানোর নোটিসের জবাবে সন্তুষ্ট না হলে রিটার্নিং কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট সম্ভাব্য প্রার্থীকে সতর্ক করবে। তারপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে জেল-জরিমানার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। শেষ পর্যন্ত না মানলে প্রার্থী হওয়ার পর প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়টিও ইসির হাতে রয়েছে।
সম্ভাব্য কয়েকজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে পাঁচজনের বেশি লোক নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহে আসার অভিযোগও খতিয়ে দেখা হবে বলে রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান।
উত্তর সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, “আমার কাছে যারা এসেছেন তারা ৫ জন লোক নিয়েই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু কেউ কেউ বলছেন- কার্যালয়ের বাইরে মিছিল ও লোকসমাগম করে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছে। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব।”
আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য তিন সিটির জন্যে দুই জন করে নির্বাহী হাকিম চেয়েছে ইসি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় বিচার করবেন।
আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হওয়ার পর ১০ এপ্রিল থেকে প্রতি সিটিতে ৬ জন করে ১৮ জন নির্বাহী হাকিম দেওয়ারও অনুরোধ জানানো হয়েছে ইসির ওই চিঠিতে।
এছাড়া ভোটের আগে-পরে চার দিন তিন সিটিতে ৩৩ জন বিচারিক হাকিম নিয়োগে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তফসিল ঘোষণার পর সোমবার পর্যন্ত পাঁচ দিনে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের ৯৮০টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
এর মধ্যে উত্তরে ৩৪৪টি এবং দক্ষিণে ৬৩৬টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। মেয়র পদে উত্তরে ১৩ জন ও দক্ষিণে ৯ জন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।
আগামী ২৮ এপ্রিল ডিসিসি (উত্তর ও দক্ষিণ) এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হবে। তিন সিটিতেই মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ২৯ মার্চ। মনোনয়নপত্র যাছাই-বাছাই হবে ১ ও ২ এপ্রিল; প্রত্যাহারে শেষ সময় ৯ এপ্রিল।