বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমগুলোতে যারা সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন, তাদের অধিকাংশের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রবাসী সাংবাদিক-কলামনিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী।
Published : 21 Dec 2014, 07:29 PM
রোববার বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে অনুজ সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আড্ডায় তিনি বাংলাদেশের গণমাধ্যমের সম্পাদনা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “এখন যারা সম্পাদকীয় পদগুলোতে রয়েছেন, তাদের বেশিরভাগই মালিকপক্ষের ম্যানেজার।
“এখন কোনো সম্পাদকই খবর সম্পাদনা করেন না। তারা ব্যবস্থাপনা করতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এখন যে যত ভালো ব্যবস্থাপক, সে তত স্থায়ী।”
“মিডিয়াগুলো যেভাবে সংবাদ বিকৃত করছে, টুইস্ট করছে, ভূমি দখলদারদের পক্ষে সাফাই গাইছে, তাতে খুব শিগগিরই সম্পাদক প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাবে,” বলেন তিনি।
সম্ভাব্য এই পরিণতি ঠেকাতে সম্পাদকদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা ও নির্দিষ্ট অভিজ্ঞতার বাধ্যবাধকতা আরোপের পরামর্শ দেন তিনি।
‘অগ্রজের সাথে একদিন’ শীর্ষক এই আড্ডায় একুশের গানের রচয়িতা গাফফার চৌধুরীর সঙ্গে ছিলেন সাংবাদিক কামাল লোহানী, আবেদ খান, শাহ আলমগীর, ইশতিয়াক রেজা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
আড্ডায় বঙ্গবন্ধুকে ‘রাজাকার’ বলে দেওয়া তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন গাফফার চৌধুরী।
“যে এ ধরনের কথা বলেছে সে উন্মাদ। সে একটা কনভিক্টেড ক্রিমিনাল, মিডিয়া কেন তার বক্তব্য প্রচার করবে? হু ইজ তারেক?”
“সাজা থেকে বাঁচতে সে বিলেতে পালিয়ে রয়েছে। যারা নিরপেক্ষতার নামে এ ধরনের বক্তব্য প্রচার করেছে তাদের প্রতি ধিক্কার।”