বিচারক যখন রায় পড়ছিলেন তখন মুক্তিযুদ্ধকালীন চট্টগ্রামের আলবদর কমান্ডার মীর কাসেম আলীকে দেখা গেছে বেশ ফুরফুরে মেজাজে, যার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, অপহরণ, নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৪টি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
Published : 02 Nov 2014, 10:31 AM
হালকা আকাশী শার্ট, ঘিয়ে কোট আর চশমা চোখে কাঠগড়ায় একটি চেয়ারে বসানো হয় যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর এই শুরা সদস্যকে।
রোববার বেলা ১০টা ৪৩ মিনিটের দিকে তাকে হাজির করা হয় কাঠগড়ায়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং অপর দুই সদস্য বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম রায় ঘোষণার জন্য এজলাসে আসেন তারও ১২ মিনিট পর, ১০টা ৫৫ মিনিটে।
এর আগে সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে আসামি মীর কাসেমকে পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যানে করে পুরাতন হাই কোর্ট এলাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসা হয়। আদালত কক্ষে নেওয়ার আগে তাকে রাখা হয় ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায়।
এই রায়কে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন প্রবেশপথে রয়েছে পুলিশ ও র্যাব। গণমাধ্যম কর্মীদেরও ট্রাইব্যুনালে ঢুকতে দেওয়া হয় নিরাপত্তা তল্লাশির পর।