বিচারক শূন্যতার অজুহাত নয়: প্রধান বিচারপতি

আদালতে বিচারক শূন্যতার অজুহাতে দায়িত্বে অবহেলা না করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন।

বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে এক সংবর্ধনা সভায় তিনি বলেন, “বিচারক ও আইনজীবীদের সমন্বয় ও সুসর্ম্পক থাকতে হবে। জনগণের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা সাংবিধানিক দায়িত্ব। আদালতে বিচারক শূন্যতার কারণ দেখিয়ে দায়িত্ব অবহেলা করা যাবে না।”

প্রধান বিচারপতি বলেন, আইনজীবী ও বিচারকের দায়িত্ব কীভাবে পালন করতে হয় তা নিজের জীবনে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে উপলদ্ধি করেছেন তিনি।

উভয় ক্ষেত্রে আন্তরিকতা ও দায়বদ্ধতা থাকতে হয় বলে তিনি মনে করেন।

মামলার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে মানুষ বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমাদের যা রয়েছে তার সদব্যবহার করতে হবে। বিচার প্রার্থীর যেন বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থার জায়গায় ধস না আসে।”

কক্সবাজার আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে দুপুরে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সংবর্ধনার জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, তরুণ আইনজীবীদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনে প্রবীণদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো এবং অধ্যবসায়ী হতে হবে।

তিনি গতানুগতিক মানসিকতা থেকে বের হয়ে এসে বার ও বেঞ্চের সমন্বয়ে পুরাতন মামলাগুলো নিস্পত্তির জন্য আহবান জানিয়েছেন।

সেই সঙ্গে আইনজীবীদের উত্থাপিত দাবি বিদ্যুৎ আদালত, পরিবেশ আদালত ও সাইবার ক্রাইম কোর্ট প্রতিষ্ঠায় আইন মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করার আশ্বাস দেন।

এছাড়া কক্সবাজার আদালতে বিচারক ও কর্মকর্তা শূন্যতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারেও উদ্যোগের আশ্বাস দেন।

কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ছৈয়দ আলমের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সুপ্রীম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রর এসএম কুদ্দুস জামান, জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার।

আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তারেকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পিপি মমতাজ আহমদ, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান ও প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট একে আহমদ হোসেন।