সিলেটের বালাগঞ্জে নিখোঁজের পাঁচদিন পর এক ইমাম ও এক অটোরিকশা চালকের মাটিচাপা দেয়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
Published : 23 Oct 2014, 06:21 PM
নিহতরা হলেন- উপজেলার খারমাপুর গ্রামের মৃত হাজী বাহার উল্লাহর ছেলে ও বালাগঞ্জ পূর্ব বাজার জামে মসজিদের ইমাম আবদুল হামিদ ওরফে আবদুস শুকুর কালা হুজুর (৫৫) ও উপজেলার কাশীপুর গ্রামের মৃত তাহির আলীর ছেলে অটোরিকশার চালক আরশ আলী (৩০)।
এ ঘটনায় ইলাশপুর বড়চর গ্রামের সৌদী প্রবাসী ফিরোজ আলীর স্ত্রী আফিয়া বেগম (৪০), তার ছেলে মারজানুল আলম শিমুল (২২), শাকিল আহমদ (২০) ও মেয়ে শারমিনকে (১৮) আটক করা হয়েছে।
আফিয়া বেগম নিহত আবদুল হামিদের শ্যালিকা।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর এলাকার শত শত লোক আফিয়া বেগমের বাড়িতে জড়ো হয়ে বাড়িটি ঘেরাও করে।
আফিয়া বেগমের বরাত ওসি বলেন, আবদুল হামিদের সঙ্গে আফিয়া বেগমের অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। হামিদ এক পর্যায়ে তার মেয়ে শারমিনের সাথেও অনৈতিক সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করেন। এতে আফিয়া বেগম ও তার ছেলে-মেয়েরা ক্ষুব্ধ হন।
“গত শনিবার রাতে অটোরিকশায় করে আবদুল হামিদ আফিয়ার বাড়িতে যান। ওই রাতেই আফিয়া বেগমের ছেলেরা তাকে মারধর করে খুন করে। এ সময় অটোরিকশা চালক আরশকে চলে যেতে বললে ইমামকে না নিয়ে যেতে অপরাগতা প্রকাশ করায় তাকেও খুন করা হয়।
“খুনের পর লাশ গুম করার জন্য বাড়ির বাথরুমের বাথটাবের নিচে গর্ত করে লাশ দুইটি চাপা দিয়ে ঢালাই করে দেয়া হয়।”
তিনি আরো জানান, ইমাম ও অটোরিকশা চালক নিখোঁজের পর পুলিশ তাদের সন্ধানে নামে। বৃহস্পতিবার সকালে আফিয়ার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে তারা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে।
গত শনিবার রাতে নিখোঁজ হন ইমাম আবদুল হামিদ ও অটোরিকশা চালক আরশ আলী। পরদিন ওসমানীনগর থানার কাজিরগাঁও এলাকা থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার হলেও তাদের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।