ভোট দেয়ায় নির্বাচনের সন্ধ্যায় দিনাজপুর সদর উপজেলার একটি গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের শতাধিক বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে নির্বাচন বিরোধীরা।
Published : 06 Jan 2014, 04:05 PM
রোববার চেহেলগাজী ইউনিয়নের কর্ণাই গ্রামে এ হামলা থেকে রক্ষা পেতে প্রায় অর্ধশত পরিবারের লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে স্থানীয় সমাজসেবী রেজাউল করিম রাকির বাড়িতে আশ্রয় নেন।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আবেদন করেও কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ ওই পরিবারগুলোর।
রেজাউল করিম রাকি এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন আরা জোৎস্না বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কর্ণাই গ্রামটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত।
রোববার কর্ণাই সরকারি প্রাথমিক বিদালয় কেন্দ্রে ভোট গণনার পরপরই ভোটে অংশ নেয়ায় জামায়াত-শিবিরের কয়েকশ ক্যাডার সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়।
হামলাকারীরা লাঠিসোটা ও দেশি অস্ত্র নিয়ে কর্ণাই গ্রামের সাহাপাড়া, প্রিতমপাড়া, প্রফুল্লপাড়া, তেলীপাড়া, বৈদ্যপাড়া, হাজীপাড়া ও অজয়পাড়ায় প্রায় তিন ঘন্টা তাণ্ডবলীলা চালায়।
গভীর রাত পর্যন্ত হামলাকালে তারা ৪/৫টি বাড়ি, ৬/৭টি দোকান জ্বালিয়ে দেয়। এছাড়া শতাধিক বাড়ি, অর্ধশতাধিক দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে এবং মূল্যবান মালামাল লুট করে।
হামলার শিকার দীপক কুমার, শিবু চন্দ্র, রতন চন্দ্র, চঞ্চল চন্দ্র, ভরত চন্দ্র মুকুল চন্দ্রসহ গ্রামের লোকজনের অভিযোগ, ভোট দেয়ার অপরাধে তাদের উপর হামলা চালিয়েছে নির্বাচন বিরোধীরা। ভোটের আগে এরাই তাদের ভোট কেন্দ্রে না যেতে বলেছিল।
হামলা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনকে জানিয়েও তারা কোনো সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি আলতাফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমরক বলেন, নির্বাচন কাজে ব্যস্ত থাকায় ওদিকে নজর দিতে পারেনি পুলিশ।
দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুকুট চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের দলের লোকজন এ হামলায় জড়িত নয়। এটা অপপ্রচার।
স্থানীয় সাংসদ ইকবালুর রহিমসহ প্রশাসনের লোকজন সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।