মুঘল স্থাপত্য ছোট কাটরার সামনে আইন উপেক্ষা করে নির্মাণাধীন ভবনটি ভেঙে দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
Published : 25 Sep 2013, 11:45 PM
বুধবার পুলিশের সহায়তায় রাজউকের একটি দল ছোট কাটরার সামনের ওই ভবনটি ভেঙে দেয়।
গত ২০ সেপ্টেম্বর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে ‘বড় কাটরা-ছোট কাটরা: আইনে আছে, মানচিত্রে নেই’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে আইন অমান্য করে এই ভবন নির্মাণের বিষয়টিও ছিল।
রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-১ আমিনুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিয়ম ভেঙে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছিল। আমরা আজ ভবনটির কলাম ভেঙে দিয়েছি। মালিক আমাদের কথা দিয়েছে, আগামী সাত দিনের মধ্যে ওই স্থানটি মাটি দিয়ে ভরাট করে দেবে।”
চাম্পাতলি লেনে ছোট কাটরার দেয়ালের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে বহুতল ওই ভবনটির নির্মাণকাজ চলছিল।
প্রায় দুই মাস আগে ওই ভবন নির্মাণ শুরু হলে রাজউক তা বন্ধ করে দিলেও গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
মুঘল আমলের ‘সেকুলার’ এ স্থাপত্য দুটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে এ স্থাপত্যটি সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে আসছে বিভিন্ন সংগঠন।
২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার নান্দনিক সৌন্দর্যমণ্ডিত ৯৩টি ভবন, শাঁখারীবাজার এলাকা এবং ফরাশগঞ্জ, সূত্রাপুর এলাকার নয়টি সড়ককে সংরক্ষিত ঘোষণা করে হেরিটেজ আইন প্রণয়ন করা হয়।
সেই আইন অনুযায়ী, সংরক্ষিত এসব ভবনের আড়াইশ’ মিটারের মধ্যে (যা মূল ভবনটির সৌন্দর্যের ক্ষতি করে) কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। ভবনগুলোতে সংস্কার চালানোর বিষয়েও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সংরক্ষিত এ ভবনগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বড় কাটরা ও ছোট কাটরা।
হেরিটেজ আইনে এই দুটি স্থাপত্যকে ‘প্রোটেকশন’ দেয়ার কথা বলা হলেও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) এর মানচিত্রেও বিশেষ অঞ্চলের মর্যাদা পায়নি স্থাপত্য দুটো।
ড্যাপে লালবাগ কেল্লা এবং সেন্ট্রাল জেলসহ পুরান ঢাকার আরো কয়েকটি সংরক্ষিত স্থাপনায় বাদামি রং দিয়ে চিহ্নিত করা থাকলেও বড় কাটরা বা ছোট কাটরায় কোনো চিহ্ন নেই।