গত ৬ মাসে সারাদেশে ২৪১টি কর্মক্ষেত্র দুর্ঘটনায় মোট ৩৩৩ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন, এর মাঝে সীতাকুণ্ডে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪৯ জন।
Published : 01 Jul 2022, 12:54 AM
সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের ওপর ভিত্তি করে বেসরকারি সংস্থা সেইফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি (এসআরএস) বৃহস্পতিবার এ জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
এ সংস্থাটি গত বছরও একই সময়ে একটি জরিপ প্রকাশ করেছিল। তাতে ২২০টি কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ৩০৬ জন শ্রমিক নিহতের তথ্য দেওয়া হয়েছিল।
এবার জরিপে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি শ্রমিক নিহত হয়েছেন পরিবহন খাতে, যেখানে শ্রমিক মৃত্যুর সংখ্যা মোট ১৩৮ জন।
এর পরেই রয়েছে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, যেখানে ১০০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া নিহত হয়েছেন নির্মাণ খাতে ৪৮ জন, কল-কারখানা ও অন্যান্য উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠানে ২৬ জন এবং কৃষি খাতে ২১ জন।
মৃত্যুর কারণ পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, এবছর কেবল সড়ক দুর্ঘটনায়ই নিহত হয়েছেন ১৫৩ জন শ্রমিক।
এছাড়া আগুনে পুড়ে ৫৭ জন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ২৫ জন, শক্ত বা ভারী কোনো বস্তুর দ্বারা আঘাতে বা তার নিচে চাপা পড়ে ২৩ জন, উপর থেকে পড়ে গিয়ে ১৯ জন, বজ্রপাতে ১৫ জন, বয়লার বিস্ফোরণে ১৫ জন, রাসায়নিক দ্রব্য বা সেপটিক ট্যাঙ্ক বা পানির ট্যাঙ্কের বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে ৯ জন, পাহাড়, মাটি, ব্রিজ, ভবন, স্থান বা দেয়াল ধসে ৯ জন এবং পানিতে ডুবে ৮ জন শ্রমিক নিহত হয়।
জরিপের তথ্য প্রকাশকালে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক সেকেন্দার আলী মিনা বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় শুধু চালক ও হেলপার মৃত্যুর ঘটনাগুলো আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি। পরিবহন খাতকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরো নজরদারি বাড়াতে হবে। তা না হলে, দুর্ঘটনা বাড়তেই থাকবে।”
এসআরএসের এই জরিপ থেকে দেখা যায়, কারখানায় অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা না থাকা, কেমিকেল সংরক্ষণে অদক্ষতা ও অবহেলা, কারখানা ভবনে জরুরি বহির্গমন পথ না থাকা, কারখানা নির্মাণে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমতি না নেওয়া, নিরাপত্তা বিষয়ে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ না দেওয়া সাম্প্রতিকালে অগ্নিদুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণ।