পদ্মা সেতু মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সাহস এনে দিয়েছে: রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন বিশ্ব দরবারে দেশ ও জনগণকে আত্মবিশ্বাসের সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সাহস এনে দিয়েছে।

১৪ জুন ২০২২: সন্ধ্যায় একসঙ্গে জ্বালানো হয় পদ্মা সেতুর সবগুলো সড়কবাতি।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি বলেছেন, “স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ উত্তাল পদ্মার বুকে জাতির গৌরবের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এসব অর্জনের অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সাহসিকতা, বলিষ্ঠ পদক্ষেপ এবং যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলেই বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে।”

শনিবার সকাল ১০টায় দেশের সবচেয়ে বড় এ সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার থেকে স্বপ্নের এ সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

এ সেতুকে বাংলাদেশের ‘আত্মনির্ভরশীলতা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক’ হিসেবে বর্ণনা করে রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন দেশবাসীকে।

তিনি বলেন, “একটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত হল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে। বাস্তবায়িত হচ্ছে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেলসহ অনেক মেগা প্রকল্প।”

রাষ্ট্রপতি বলেন, “পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন- সম্পদ ব্যবস্থাপনা, স্বচ্ছতা, সক্ষমতা, জবাবদিহি ও দক্ষতার নিদর্শন হিসেবে বিশ্বদরবারে আমাদেরকে আত্মবিশ্বাসের সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সাহস এনে দিয়েছে।”

ব্যবসা-বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এ সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও প্রত্যাশা করেছেন তিনি।