সকলের ‘ঐকবদ্ধ প্রচেষ্টায়’ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সফলতার দাবি করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
Published : 22 Sep 2021, 10:33 PM
বুধবার ঢাকা নিউ মার্কেট সংলগ্ন ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র (এসটিএস) উদ্বোধনের সময় তিনি এই দাবি করেন।
মেয়র বলেন, ২০১৯ সাল ছিল এইডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপের সবচেয়ে খারাপ বছর। সেই বছরের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় রেখেই এ বছর কর্মপরিকল্পনা সাজি তার ভিত্তিতে কাজ করছে সিটি করপোরেশন।
“ফলে এ বছর অনেক অপপ্রচার, অপরাজনীতি, কূটকৌশল, বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহলের বিভিন্ন চক্র থাকার পরও আজ অবদি আমাদের এক হাজার ৫০ জন মশক কর্মী ও কাউন্সিলর, আঞ্চলিক নির্বাহী কমর্কর্তা, মশক শাখার কর্মকর্তাসহ সকলের নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে ২০১৯ সালের তুলনায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৯০ ভাগ না, ৭৫ ভাগ না, ৫০ ভাগ না, ২৫ ভাগও না, আমরা ১০ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।”
২০১৯ সালের পরিসংখ্যান তুলে ধরে মেয়র বলেন, ওই বছর শুধু অগাস্ট মাসেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিল ৫২ হাজারের বেশি মানুষ। সেপ্টেম্বর মাসে আক্রান্ত হয়েছিল ১৬ হাজারের বেশি। আর জুলাই মাসে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গতে আক্রান্ত হয়েছিল।
মেয়র তাপস বলেন, নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী মশার উৎস ধ্বংস করতে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা ঘরে ঘরে গেছে। ২৭ হাজারের মত আবাসিক ভবন ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে।
“যেখানে-যেখানে মশার উৎসস্থল পেয়েছি, যেখানে-যেখানে আধার পেয়েছি, এবং যখন যা তথ্য পেয়েছি, সাথে সাথে আমাদের জনবল সেখানে গিয়ে আধার বিনষ্ট করেছে। পর্যাপ্ত কীটনাশক প্রয়োগের মাধ্যমে লার্ভা ধ্বংস করেছি বলেই আমরা এই সফলতা অর্জন করতে পেরেছি।"
গত পাঁচ দিনের পরিসংখ্যানে ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪০ জনের নিচে রয়েছে বলে জানান মেয়র।
ডেঙ্গু এখন ‘নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে’ দাবি করে তিনি বলেন, “যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রাথমিকভাবে যে তথ্য পাওয়া যায়, সেটা অনেক বড় মনে হয়। কিন্তু আমরা এটা যখন যাচাই-বাছাই করি, তখন দেখা যায় এই সংখ্যা আরও কম।”
মেয়র তাপসের ভাষায়, ঢাকাই বিশ্বের ‘একমাত্র শহর’, যেখানে উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য পরে থাকে।
এর মধ্য দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৬টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র পেল বলে জানান মেয়র।
তিনি বলেন, "আমরা আশাবাদী, এ বছরের মধ্যে ৭৫টি ওয়ার্ডেই আমরা বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র স্থাপন করব। এটা অত্যন্ত কঠিন কাজ। কারণ জমির সঙ্কুলান হয় না এবং বিভিন্ন বাধা আসে। তারপরও এ কার্যক্রম আমরা সফলতার সাথে সম্পন্ন করে চলেছি।”
অন্যদের মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের ও মুন্সি মো. আবুল হাশেম, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।