তাদের নিয়ে চলতি বছর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেল।
এ বছর ডেঙ্গুতে প্রাণ গেছে ৫৭ জনের, তবে গত একদিনে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যুর খবর আসেনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৮২ জন ডেঙ্গু রোগী ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ৫২ জন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এ ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ১ হাজার ২৪৭ জন।
তাদের মধ্যে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ৪৭ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন বিভাগে ২০০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
সব মিলিয়ে চলতি বছর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন মোট ১৫ হাজার ৬৫ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ হাজার ৭৬১ জন।
চলতি সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭০৯ জন, আর ডেঙ্গুজ্বরে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।
গত অগাস্ট মাসে এই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬৯৮ জন রোগী ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এক মাসে মৃত্যু হয়েছিল ৩৪ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি। তবে জুলাই থেকে রোগী বাড়ায় গত আড়াই মাসেই ৫৭ জন মারা গেলেন ডেঙ্গুতে।
২০১৯ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করায় এক লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন, এ বছরই সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এই ভাইরাস জ্বরে।
সে বছর বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে আসা ২৬৬টি মৃত্যু পর্যালোচনা করে ১৪৮ জনের ডেঙ্গুতে মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছিল আইইডিসিআর।
পরের বছর তা অনেকটা কমে আসায় হাসপাতালগুলো ১ হাজার ৪০৫ জন ডেঙ্গু রোগী পেয়েছিল।