বিদেশগামীদের নতুন করোনাভাইরাস পরীক্ষা করে সনদ দিতে আরও ১০টি বেসরকারি রোগ নির্ণয়কেন্দ্র সরকারের অনুমোদন পেয়েছে।
Published : 20 Oct 2020, 05:37 PM
এগুলো হলো- মহাখালীর আইসিডিডিআরবি, সোবহানবাগের ডিএমএফআর মলিকিউলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, প্রাভা ডায়াগনস্টিক ও ধানমণ্ডির পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মহাখালীর ইন্সটিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইদেশি), ধানমণ্ডির ল্যাবএইড, স্কয়ার, এভার কেয়ার ও ইউনাইটেড হাসপাতাল।
অনুমোদিত ১০টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণায় থেকে স্বরাষ্ট্র, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন, পররাষ্ট্র, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোয় পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশগামীদের কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষার অনুমতি চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে আবেদন করেছিল। তা গ্রহণ করে সুপারিশ পাঠালে মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে।
বিদেশগামীদের ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তৈরি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে সনদ ইস্যু করতে হবে।
নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এসে আটকা পড়েছেন অন্তত দেড় লাখ বাংলাদেশি। তাদের ফেরার ক্ষেত্রে ‘করোনাভাইরামুক্ত’ সনদ থাকা বাধ্যতামূলক করে দেয় বিভিন্ন দেশ।
ঢাকার বাইরে আরও ১৩টি জেলা বরিশাল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ, বগুড়া, রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর ও সিলেটের সিভিল সার্জন অফিস থেকে বিদেশগামীদের কোভিড-১৯ সনদ দেওয়া হতো।
বিদেশে গমনেচ্ছু যাত্রীদের যাত্রা শুরুর ৭২ ঘণ্টা আগে নমুনা দিতে হয়। এসময় পাসপোর্ট ও টিকেটের অনুলিপি দিতে হয়। দেখাতে হয় মূল পাসপোর্ট ও টিকেট। নমুনা সরকারি ল্যাবে পরীক্ষা করে যাত্রার ২৪ ঘণ্টা আগে রিপোর্ট দেওয়া হয়।
২০ জুলাই থেকে বিদেশগামীদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা শুরুর পর ৩৫০০ টাকা করে ফি নেওয়া হচ্ছিল। ২৪ অগাস্ট সরকার সেই ফি কমিয়ে এক হাজার ৫০০ টাকা করে।