হোম
+
বিদেশগামী যাত্রীদের করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফি আরও কমিয়ে অন্যদের সমান করার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
Published : 27 Aug 2020, 03:16 PM
বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে। সরকারি সেবার ক্ষেত্রে অন্যদের মত তাদেরও সমান সুযোগ দেওয়া উচিত।”
দেশের অন্য নাগরিকরা যে ফি দিয়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে পারছেন, বিদেশগামীরা বা প্রবাসীদের জন্যও একই ফি নির্ধারণ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
করোনাভাইরাস মহামারীতে গত মার্চ থেকে ৩ মাস বিশ্বে আকাশপথে যাত্রী পরিবহন অনেক দেশ বন্ধ রেখেছিল।
সীমিত পরিসরে আকাশ পথ খোলার পর বাংলাদেশ থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে অনেকে বিদেশে গিয়ে ধরা পড়ার পর কোভিড নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক করে সরকার।
২১ জুলাই থেকে ঢাকায় মহাখালীর ডিএনসিসি মার্কেটের অস্থায়ী কোভিড-১৯ আইসোলেশন সেন্টারে এবং ঢাকার বাইরে আরও ১৩টি জেলায় বিদেশগামী যাত্রীদের করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়।
কিন্তু পরীক্ষা করাতে গিয়ে বিদেশগামীদের বিড়ম্বনার অভিযোগের প্রেক্ষাপটে ৩০ জুলাই এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বলা হয়, বিদেশগামীদের ‘কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ’ আর বাধ্যতামূলক নয়।
শুরু থেকে বিদেশগামীদের করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য ৩৫০০ টাকা করে ফি নেওয়া হচ্ছিল। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গত ২৪ অগাস্ট সেই ফি কমিয়ে এক হাজার ৫০০ টাকা করার কথা জানান।
এদিকে গত মার্চে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর বিনা পয়সায় কোভিড-১৯ শনাক্তের আরটিপিসিআর পরীক্ষা করে দিচ্ছিল সরকার। কিন্তু রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকার মধ্যেই গত ২৬ জুন নমুনা পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হয়।
সে সময় সরকারিভাবে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় হাসপাতাল বা বুথে নমুনা দিলে ২০০ টাকা এবং বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হলে ৫০০ টাকা ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
সেই ফি গত ১৯ অগাস্ট অর্ধেক করে দেওয়ার কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। হাসপাতাল বা বুথে নমুনা দিলে ১০০ টাকা এবং বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হলে ৩০০ টাকা ফি দিতে হচ্ছে এখন।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, “আমার প্রস্তাব হল, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে যেই ফি নেওয়া হচ্ছে বিদেশগামীদের কাছ থেকেও যেন একই ফি নেওয়া হয়। সেই হিসেবে এখন যেহেতু সাধারণ নাগরিকরা ১০০ টাকা ফি দিয়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে পারছেন, বিদেশগামীদের জন্যেও ১০০ টাকা করা উচিত।”
