কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহের মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে বাংলাদেশ।
Published : 30 Sep 2020, 07:55 PM
শেখ সাবাহকে বাংলাদেশের ‘অকৃত্রিম বন্ধু’ উল্লেখ করে বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পরবর্তী দিন রাষ্ট্রীয় শোক পালনের কথা জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সব সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশের বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
একই সঙ্গে আমিরের রুহের মাগফিরাতের জন্য বাংলাদেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তার আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ (৯১) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে মারা যান।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
কুয়েতের আমির সাবাহ আল আহমদ আল-জাবের আল সাবাহ’র মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণলায়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পৃথক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান কুয়েতি আমিরের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত রাজকীয় পরিবার এবং সেদেশের ভ্রাতৃপ্রতীম জনগণের প্রতি সমবেদনা জানান।
শোক বার্তায় আবদুল হামিদ ও শেখ হাসিনা বলেন, শেখ সাবাহ ছিলেন মুসলিম বিশ্বের স্বার্থ রক্ষায় অত্যন্ত নিবেদিতপ্রাণ বিশ্বনেতা। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের ‘প্রকৃত বন্ধু’। শেখ সাবাহ’র নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও কুয়েতের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছিল।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কুয়েতে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণে কুয়েতের আমিরের ভূমিকা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
শেখ সাবাহ ২০০৬ সাল থেকে কুয়েতের আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। আর প্রায় ৫০ বছর ধরে দেশটির পররাষ্ট্র নীতি তদারক করেছেন তিনি।
১৯৯০-৯১ সালে ইরাকের কুয়েত আগ্রাসনকে সমর্থন দেওয়া দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে ভূমিকার জন্য সাবাহকে বলা হত ‘আরব কূটনীতির ডিন’।
এদিকে, বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণলায়ের ডিপ্লোমটিক ব্রিফিংয়ে কুয়েতের রাষ্ট্রদূতের থাকার কথা থাকলেও আমিরের মৃত্যুর কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
আমিরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমাদের পরম বন্ধু কুয়েতের আমির মারা গেছেন। আমাদের বহু বছরের পুরোনো বন্ধু। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গেও উনার গভীর সম্পর্ক ছিল। আমরা তার মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করছি।”