কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ’র মৃত্যু

কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমেদ আল-সাবাহ ৯১ বছর বয়সে মারা গেছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2020, 03:05 PM
Updated : 29 Sept 2020, 03:36 PM

মঙ্গলবার কুয়েতের রাষ্ট্রীয় টিভিতে সাবাহ’র কার্য্লয়ের এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর খবর ঘোষণা করা হয়েছে।

বিবিসি জানায়, সাবাহ’র মৃত্যুতে তার ৮৩ বছর বয়সী সৎ ভাই এবং বর্তমান যুবরাজ শেখ নাওয়াফ আল-আহমেদ নতুন আমিরের দায়িত্ব নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

অসুস্থ হয়ে কুয়েতের হাসপাতালে কিছুদিন ভর্তি থাকার পর গত জুলাইয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ সাবাহ যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। সেখানেই হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

সাবাহ’র মৃত্যুতে তার কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল আহমেদ আল সাবাহ’র মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে দুঃখিত, শোকাহত। তার মৃত্যু কুয়েতের জনগণ, ইসলামি আরব বিশ্ব এবং বন্ধু দেশগুলোর জনগণের জন্য খুবই দুঃখজনক।”

শেখ সাবাহ ২০০৬ সাল থেকে কুয়েতের আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। আর প্রায় ৫০ বছর ধরে দেশটির পররাষ্ট্র নীতি তদারক করেছেন তিনি।

১৯৯০-৯১ সালে ইরাকের কুয়েত আগ্রাসনকে সমর্থন দেওয়া দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে ভূমিকার জন্য সাবাহ-কে বলা হত ‘আরব কূটনীতির ডিন’।

তাছাড়া, আঞ্চলিক নানা বিরোধ নিস্পত্তিতেও মধ্যস্ততাকারীর ভূমিকা পালন করেছিলেন শেখ সাবাহ আল-আহমেদ আল-সাবাহ।সম্প্রতি সৌদি আরব ও এর মিত্র দেশ এবং কাতারের মধ্যকার কূটনৈতিক অচলবস্থা নিরসনে কাজ করেছিলেন তিনি।

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ থেকেও কুয়েতকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন সাবাহ। যুদ্ধে জড়ানোর বদলে দেশটিতে মানবিক ত্রাণ সহায়তার জন্য বেশ কিছু দাতা সম্মেলন আয়োজন করেছিলেন কুয়েতের এই আমির।

২০০৬ সালে কুয়েতের তৎকালীন আমির শেখ সাদ আল-আবদুল্লাহর পদত্যাগের পর জানুয়ারিতে ক্ষমতায় এসেছিলেন শেখ সাবাহ আল-আহমেদ আল-সাবাহ।

এর আগে তিনি কুয়েতের আরেক সাবেক আমির শেখ জাবের আল-আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহর অধীনে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

এরও আগে ১৯৬৩ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত এবং ১৯৯২ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন শেখ সাবাহ।

বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম তেলের ভান্ডার এবং যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদেশ কুয়েত।দেশটির ৪৮ লাখ জনসংখ্যার ৩৪ লাখই বিদেশি।

গত ২৬০ বছর ধরে কুয়েত শাসন করছে সাবাহ পরিবার।দেশটির রাজনৈতিক বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন আমিরই। পার্লামেন্ট বাতিল করা কিংবা ভেঙে দিয়ে নির্বাচন ডাকার ক্ষমতাও থাকে আমিরের হাতে।