গৃহকর্মীর কাজে সৌদি আরবে গিয়ে বাংলাদেশি কিশোরী উম্মে কুলসুমের মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকার জনশক্তি রপ্তানিকারক এজেন্সি এমএইচ ট্রেডার্স ইন্টারন্যাশনালের মালিককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
Published : 17 Sep 2020, 03:57 PM
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ফকিরাপুলের ডিআইটি রোডে এমএইচ ট্রেডার্সে অভিযান চালিয়ে এজেন্সির মালিক মকবুল হোসেন এবং তার সহযোগী মো. পারভেজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ম্যাজিস্ট্রেট জানান, ১৪ বছরের কিশোরী উম্মে কুলসুমের বয়স ২৬ বছর দেখিয়ে সৌদি আরবে পাঠানো হয় এমএইচ ট্রেডার্সের মাধ্যমে।
সেখানে নির্যাতনের শিকার হয়ে গত ৯ অগাস্ট স্থানীয় একটি হাসপাতালে মারা যায় কুলসুম। ১১ সেপ্টেম্বর তার মৃতদেহ দেশে আনা হয়।
স্থানীয় দালাল রাজ্জাক মিয়ার মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে মেসার্স এমএইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে কুলসুমকে গৃহকর্মীর কাজে সৌদি আরবে পাঠানো হয়।
পরিবারের অভিযোগ, ১৭ মাস আগে সৌদি আরবে যাওয়ার পর থেকেই কুলসুমের ওপর ‘অমানুষিক নির্যাতন’ চলে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, “সৌদি আরবে গিয়ে নারী কর্মীর শারীরিক, মানসিক নির্যাতন ও শ্রম শোষণের শিকার হওয়ার ঝুঁকির কথা জেনেও এমএইচ টেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক সতর্ক না করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে কুলসুমকে সৌদি আরবে পাচার করেছে।
“কুলসুমের পরিবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে স্থানীয় দালালের সঙ্গে যোগাযোগ করলে এমএইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি দেখায়নি। অফিস তল্লাশি করে এরকম ১২জন ভুক্তভোগীর অভিযোগনামা পাওয়া গেছে সেখানে।”
এমএইচ টেড ইন্টারন্যাশনালের মালিকের বিরুদ্ধে এর আগে ফতুল্লা ও নারায়ণগঞ্জ থানায় মামলা রয়েছে জানিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, বর্তমানে ওই মামলার তদন্ত করছে সিআইডি।
কুলসুমের ঘটনাতেও মকবুলের বিরুদ্ধে মামলা হবে জানিয়ে পলাশ কুমার বসু বলেন, অভিযান শেষে এমএইচ ট্রেডার্স ইন্টারন্যাশনালের অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।