করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে আটকে থাকা শূন্য আসনের উপনির্বাচনের সময় অতিবাহিত হয়ে যেতে পারে বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।
Published : 21 May 2020, 11:24 AM
এ জন্য রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সময় বাড়ানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছেন সিইসি।
বুধবার অনলাইন জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা কার্যক্রম এবং কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএসএম) সম্পর্কিত অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নুরুল হুদা বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশন এগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। উপনির্বাচনের সময় বাড়ানোর বিষয়ে আবেদন করার প্রয়োজন হতে পারে।”
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং বগুড়া-১, যশোর-৬ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল মার্চে। তবে ভোটের নির্ধারিত তারিখের এক সপ্তাহ আগে তা স্থগিত করা হয়।
এর মধ্যে বগুড়া ও যাশোরের দুই আসনের উপ নির্বাচন এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার বাধ্যবাধতা ছিল। এদিনে সাংসদের মৃত্যুতে ঢাকা-৫ ও পাবনা-৪ আসনও ইতোমধ্যে শূন্য হয়েছে। আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে উপ নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তবে ‘দৈব-দূর্বিপাকের কারণে’ সাংবিধানিকভাবে পরবর্তী ৯০ দিন সময় রয়েছে নির্বাচন কমিশনের হাতে।
সিইসি বলেন, “ঈদের পরে আমাদের যখন অফিস খুলবে তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব। সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার প্রধান নির্বাচন কমিশনের উপর দেওয়া আছে। সাংবিধানিকভাবে সেটা ব্যবহার করা যাবে। ৯০ দিন শেষ হয়ে গেলে তখন আবার রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করতে হয়।… আমরা নির্বাচন কমিশন এগুলো নিয়ে আরোচনা করেছি।”
স্থগিত নির্বাচন কীভাবে হবে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, “স্থানীয় সরকার নির্বাচন যেগুলো তফসিল হয়ে গেছে, যেসব নির্বাচন আমরা এখন বন্ধ করেছি, যখন আমরা শুরু করব তখন যতদূর পর্যন্ত প্রস্তুত ছিল, সে পর্যায়ে শুরু করা যাবে। আমাদের কাছে সে ক্ষমতা আছে।”
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী, নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম বুধবারের এই ভার্চুয়াল মিটিংয়ে যুক্ত ছিলেন।
সিইসি কে এম নুরুল হুদা অনলাইনে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুক্ত থেকে অনলাইন প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব।