কারাগারে গিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল মাজেদের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন তার পাঁচ স্বজন।
Published : 10 Apr 2020, 08:41 PM
রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়া সাবেক সেনা কর্মকর্তা মাজেদকে কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি শাহ জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মাজেদের পরিবারের সদস্যরা কারাগারে এসে তার সঙ্গে দেখা করে গেছেন।
কারাগার এলাকায় দায়িত্বরত একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শুক্রবার বিকাল ৫টা ১৮ মিনিটে কারাগারে প্রবেশ করেন মাজেদের স্ত্রী সালেহা বেগম, শ্যালিকা শিরিন সুলতানা, শ্যালক শহিদুজ্জামান, চাচা শ্বশুর আলী আক্কাস ও ভাতিজা আ. ছালাম। সন্ধ্যা ৭টা ২৪ মিনিটে কারাগার থেকে বেরিয়ে যান তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকটি গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা বলেন, এটাই তাদের ‘শেষ সাক্ষাৎ’ বলে মনে হচ্ছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যে ছয় আসামি পলাতক ছিলেন, তাদেরই একজন সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়া ক্যাপ্টেন মাজেদ। ৭২ বছর বয়সী মাজেদকে মঙ্গলবার ভোর রাত পৌনে ৪টার দিকে ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর আদালতের আদেশে মাজেদকে নিয়ে যাওয়া হয় কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে। এদিকে তার মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
দীর্ঘদিন পলাতক থেকে আপিলের সুযোগ হারানো মাজেদ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করলে তাও খারিজ হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছিলেন, প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার পর এখন মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হওয়া ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই।
“যে কোনো দিন ফাঁসি কার্যকর করা হবে।”
স্বজনদের সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে কেরানীগঞ্জের জেল সুপার ইকবাল কবির চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মাজেদের পরিবারের পাঁচ সদস্য দেখা করে গেছেন।
কখন ফাঁসি কার্যকর করা হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখন আর কোনো প্রশ্ন করবেন না।”