বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথে চলার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
Published : 23 Feb 2020, 10:20 PM
তিনি বলেছেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একমাত্র লক্ষ্য ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর মাধ্যমে জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন করা। তার রাজনীতির মূল দর্শন বাঙালির অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি অর্জন।”
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ‘শেখ মুজিবুর রহমানের বঙ্গবন্ধু উপাধি প্রাপ্তি- শ্রদ্ধা, ভালোবাসার এক অমলিন স্মৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় একথা বলেন স্পিকার।
শিরীন শারমিন বলেন, “বাঙালির মহাজাগরণের পথিকৃৎ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অকুতোভয়। তিনি অন্যায়ের কাছে কখনও মাথা নত করেননি।
“বঙ্গবন্ধু মানুষকে গভীরভাবে ভালবাসতেন এবং বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। তিনি বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। ৬৯’র ২৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু উপাধি প্রদান এবং ৭২’র ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাঙালি জাতির জন্য দুটি মাইলফলক।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদ।
তার উদ্দেশে স্পিকার শিরীন শারমিন বলেন, “বঙ্গবন্ধু বাঙালির পরম বন্ধু। জাতির পিতা শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করে জীবন্ত কিংবদন্তি তোফায়েল আহমেদ ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন - যা জাতির জন্য গর্বের।”
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান একরাম আহমেদ, নাট্যকার এনামুল হক, অভিনেতা মাসুম আজিজ, চিত্রনায়ক রিয়াজ, সাবেক ক্রিকেটার রকিবুল হাসান প্রমুখ।