ঢাকায় মশা মারার ওষুধের কার্যকারিতা না থাকার বিষয়টি সামনে আসায় এ ওষুধ পরীক্ষা করতে সিটি করপোরেশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
Published : 17 Jul 2019, 02:35 PM
“ইচ্ছা করলেই এমন কেমিক্যাল পরিবেশে ছিটাতে পারি না, যা দিয়ে মশা মারতে গিয়ে মানুষ মারা যাবে, মানুষের ক্ষতি হবে,” বলেছেন তিনি।
বুধবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের চতুর্থদিনের দ্বিতীয় কার্যঅধিবেশনে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, আগামী ২৫ জুলাই থেকে ১ অগাস্ট পর্যন্ত দেশব্যাপী বিশেষ মশা নিধন অভিযান শুরু করা হবে।
মশা ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় রাজধানীতে দুই সিটি করপোরেশন যে ওষুধ ছিটাচ্ছে, তা কোনো কাজে আসছে না বলে সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে আসে।
এরপর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ওষুধের মাত্রা দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এক প্রশ্নে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, “এখন বলা হচ্ছে মশা নিধনে যে ওষুধ তা কার্যকর নয় বা অকার্যকর। আমি ইচ্ছা করলে কোনো রকমের কেমিক্যাল পরিবেশে ছিটাতে পারি না, যেটাতে মশা মারতে গিয়ে মানুষ মারা হয়ে যাবে, মানুষের ক্ষতি হবে।
“ওয়াল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন থেকে আমাকে ছাড়পত্র নিতে হচ্ছে যে ওষুধ ছিটাব। এখানে কোথায় কোথায় প্রশ্ন আসছে কার্যকর নয়, ভেজাল যদি হয় সিটি কর্পোরেশনের কেমিক্যালের মান পরীক্ষা করার জন্য বলা হয়েছে।”
সক্ষমতা না থাকলে পৌরসভা হিসেবে থাকা ঠিক নয়
পৌরসভার কর্মচারীরা গত মঙ্গলবার থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বেতনভাতার জন্য অনশন করছেন।
“… সে আয় তারা করবে না আর এখানে এসে আন্দোলন করবেন, এটা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা না। দেশ পরিচালনার ব্যবস্থাপনার জন্য সঙ্গতিপূর্ণ না। তারপরও তাদের বিষয়টি আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখব আমাদের যদি সাহায্য করার কোনো সুযোগ থাকে। তাদের আপৎকালীন কোনো সহযোগিতা করা যায় কিনা তা আমরা দেখছি।”
সক্ষমতা না থাকলে পৌরসভা হিসেবে থাকা ঠিক নয় মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, “কোনো পৌরসভাই আমার মনে হয় পৌরসভা হিসেবে থাকবে না, যদি তাদের আয় ও ব্যয় নির্বাহ করার সক্ষমতা না থাকে অথবা তারা যদি করতে না পারে। তাদের ব্যর্থতার জন্য পৌরসভার কর্মচারীরা সাফার করবে আমরা মনে করি বিষয়টি এভাবে দেখা ঠিক হবে না।”
বন্যা পরিস্থিতিতে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত তিন বাহিনী
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় তিন বাহিনী সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।
দিনের প্রথম কার্যঅধিবেশন শেষে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের এ কার্যঅধিবেশন হয়।
ডিসিদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে সেনাপ্রধান সাংবাদিকদের বলেন, “নিজেদের মধ্যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং কিভাবে আরও ভাল করা যায়, এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”
বন্যা মোকাবেলা নিয়ে ডিসিদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে আজিজ আহমেদ বলেন, “আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্স থেকে আমরা যে জিনিসটা সবাইকে জানিয়েছি, আমরা প্রস্তুত আছি। যেকোনো সময় যেকোনো সহযোগিতা চাইলে আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্স সবাই আমরা প্রস্তুত আছি।”
এ অধিবেশনে নৌবাহিনীর প্রধান এডমিরাল আবু মোজাফফর মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।