প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হলেও তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে।
Published : 25 Apr 2019, 12:24 AM
বুধবার সংসদ ভবনে নিজের কার্যালয়ে জাতিসংঘের তিন সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে একথা বলার পাশাপাশি এই প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘকে সহায়তা করার আহ্বানও জানান তিনি।
জাতিসংঘের তিন সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গিয়েছিলেন বলে তার প্রেস সচিব সাংবাদিকদের জানান।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রানডি), জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল (মানবাধিকার) মার্ক লোকোক এবং ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব মাইগ্রেশনের মহাপরিচালক আন্তোনিও ভিতোরিমো দেখা করেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
প্রেস সচিব বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এদের (রোহিঙ্গা) ফিরে যেতে হবে। তারা কীভাবে ফিরে যাবে, সে বিষয়ে তোমরা সাহায্য করতে পার।”
প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, “এটা বিরাট বোঝা। কতদিন এটা চলবে? আমাদের স্থানীয় মানুষেরা ভুক্তভোগী।
“চাষের জমিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, বন নষ্ট হচ্ছে। পাহাড়ি এলাকা, এখানে যে কোনো সময় ভূমিধ্বস হতে পারে। ঘুর্ণিঝড়সহ যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে এরা আক্রান্ত হতে পারে, ঝুঁকিটা বেশি।”
ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনেক সুযোগ সৃষ্টি করার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “তাই এদেরকে সরিয়ে নেওয়াই উত্তম হবে।”
অনেক দেশ এবং জাতিসংঘ ও এর সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের সহায়তা করছে উল্লেখ করে এজন্য তাদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক আচরণের প্রশংসা করেন।
তারা বলৈছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে চুক্তি হলেও এর অগ্রগতি খুব ধীর।
প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশে তারা সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে, বিশেষ করে শিশুদের শিক্ষা ও অন্যান্য মৌলিক চাহিদা পূরণে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মূখ্য সচিব নজিবুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক এসময় উপস্থিত ছিলেন।