পুরান ঢাকার শহীদনগরে একটি চুড়ির কারখানায় আগুন লেগে প্রায় দেড় ডজন দোকান ও ঘর পুড়েছে। তবে এতে কেউ দগ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
Published : 23 Mar 2019, 09:21 PM
শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে শহীদনগরের ৬ নম্বর সড়কের ওই কারখানায় আগুন লাগে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন আশপাশের দোকান-ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ততোক্ষণে ১৮টির মতো দোকান ও ঘর পুড়ে যায় বলে লালবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার হেলালউদ্দিন জানান।
আধাপাকা এসব দোকান-ঘরের মধ্যে ছয়টি ছোট চুড়ির কারখানা, দুটো অটোরিকশার গ্যারেজ, একটি মেস এবং হার্ডওয়্যার ও ইলেকট্রনিকসের দোকান রয়েছে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
পুড়ে যাওয়া ইলেকট্রনিকসের দোকানটি ওয়ালটনের শো রুম বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ধোঁয়ায় একজন কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাকে উদ্ধার করতে পারায় তেমন সমস্যা হয়নি।
ঘটনাস্থল ঘুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সাংবাদিক ঝুমুর সাহা জানান, রাস্তার পাশজুড়ে বিভিন্ন দোকান রয়েছে। তার পেছনে চুড়ির কারখানায় আগুন লাগে। পরে সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে রাস্তার পাশের দোকানগুলোও পুড়ে যায়।
ওই ঘটনার পর পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক ও প্লাস্টিকের গুদাম সরিয়ে নিতে অভিযান শুরু করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। পরে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের মুখে প্লাস্টিক দ্রব্য বাদ দিয়ে শুধু রাসায়নিকের কারখানা ও গুদাম সরানোর ঘোষণা দেন মেয়র সাঈদ খোকন।
এর আগে ২০১০ সালের ৩ জুন রাতে পুরান ঢাকার নিমতলী এলাকার আগামাসি লেনের কায়েতটুলির সাপ মন্দির রোডে একটি প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লেগে ১২৫ জনের মৃত্যু হয়।