ঢাকা শহরের সব সেবার ঝুলন্ত তার ‘পর্যায়ক্রমে’ ভূ-গর্ভস্থ বিতরণ লাইনের আওতায় নেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
Published : 05 Feb 2019, 06:50 PM
মঙ্গলবার সংসদে সরকারি দলের এ কে এম রহমতুল্লাহর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরের রাস্তার পাশে বিভিন্ন সেবা সংস্থার ঝুলন্ত তার সরিয়ে ভূ-গর্ভে পাঠানোর জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সমন্বয়ে একটি ‘মনিটরিং কমিটি’ করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির প্রতিনিধিরাও রয়েছেন এই কমিটিতে।
“ইতোমধ্যে এই কমিটির মাধ্যমে ঢাকা শহরের প্রধান প্রধান সড়কের ঝুলন্ত তার অপসারণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব ঝুলন্ত তার ভূ-গর্ভে যাবে।”
কেবল টিভি, ইন্টারনেট সার্ভিস, টেলিফোন লাইন আর বিদ্যুতের লাইন মিলিয়ে ঢাকার প্রায় সব রাস্তার পাশেই মাথার ওপর তারের জঞ্জাল।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে রাজধানীকে তারের জঞ্জাল থেকে মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। শাহবাগ থেকে উত্তরা পর্যন্ত সড়কের পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে অন্য সব সেবার তার সরানোর কাজও তখনই শুরু হয়েছিল। তবে গত এক দশকে তারের বোঝা কমেছে সামান্যই।
সাংসদ এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ঢাকার ফুটপাত সংস্কার ও উন্নয়নের কাজ চলছে। প্রতিবন্ধীরাও যেন ফুটপাত ব্যবহার করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
জাতীয় পার্টির আবু হোসেন বাবলার প্রশ্নের জবাবে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ঢাকা-৪ আসনে সরকারি খাস জমি পাওয়া গেলে এবং এ বিষয়ে প্রস্তাব পাওয়া গেলে আধুনিক মাঠ ও মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এম এ মতিনের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে নির্মিত মিনি স্টেডিয়ামগুলোর নামকরণ হয়েছে শেখ রাসেলের নামে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ২১ অগাস্ট এই প্রকল্পের ১৩১টি উপজেলা স্টেডিয়ামের মধ্যে ৬৬টি উদ্বোধন করেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল সাড়ে ৪টায় সংসদে দিনের অধিবেশন শুরু হয়।