জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী অনামিকা সোমার আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় তার স্বামী মনিরুজ্জামান পলাশকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
Published : 18 Jan 2019, 10:13 AM
ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আখতারুজ্জামান বৃহস্পতিবার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় কাঠগড়ায় দাঁড়ানো পলাশকে কাঁদতে দেখা যায় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান এ আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন।
২০০৮ সালের ৩ অক্টোবর পলাশদের কদমতলীর বাসা থেকে অনামিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় অনামিকার বাবা কায়সার আহম্মেদ কদমতলী থানায় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় মামলা করেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় অনামিকার সঙ্গে পলাশের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তারা বিয়ে করেন। সংসার শুরু করার পর বাবার বাড়ি থেকে ৫ লাখ টাকা এনে দেওয়ার জন্য অনামিকাকে চাপ দিতে থাকেন পলাশ।
২০০৮ সালের ৩ অক্টোবর অনামিকার মৃত্যুর খবর পান তার বাবা। পরে তিনি পলাশের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ৭ অগাস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দেন সিআইডি পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, টাকার জন্য অনামিকাকে চাপ দিচ্ছিলেন পলাশ। এক পর্যায়ে তিনি স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করেন। নানাভাবে নির্যাতন করে তিনি অনামিকাকে ‘আত্মহত্যা করাতে বাধ্য করেছেন’।
অভিযোগপত্রের ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে আট জনের সাক্ষ্য শুনে বিচারক বৃহস্পতিবার মনিরুজ্জামান পলাশকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন।