যৌতুক নিরোধে সংসদে আনা প্রস্তাবিত আইন পাস করার সুপারিশ করেছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
Published : 19 Aug 2018, 05:06 PM
রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে বিলটি নিয়ে আলোচনা শেষে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয় বলে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
গত ২৫ জুন বিলটি সংসদে তুলেছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। তখন তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯৮০ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন করে আইন করতে বিলটি তোলা হয়েছে। ১৯৮০ সালের ওই আইন ১৯৮২, ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে অধ্যাদশের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, কাউকে ক্ষতি করার জন্য যৌতুকের মামলা বা অভিযোগ করলে ৫ বছরের জেল অথবা ৫০ হাজার বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
আগের আইনে যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলার জন্য কোনো দণ্ডের বিধান ছিল না।
বিলে বলা হয়েছে, যদি বিয়ের কোনো এক পক্ষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্য পক্ষের কাছে যৌতুক দাবি করে তবে সর্বোচ্চ ৫ বছরের, সর্বনিম্ন ১ বছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকার জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হবে।
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য ও জামিন অযোগ্য হবে। তবে আপসযোগ্য হবে।
সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সংসদীয় কমিটি বিলটিতে সামান্য কিছু শব্দগত পরিবর্তন এনেছে।
কমিটির সভাপতি বেগম রেবেকা মমিনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ, ফজিলাতুন নেসা এবং মনোয়ারা বেগম অংশ নেন।