মহানগরের পর জেলা পর্যায়ে বিতরণের দ্বিতীয় ধাপে আরও ২৭ জেলায় উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
Published : 08 Aug 2018, 05:59 PM
বুধবার নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এসময় স্মার্ট কার্ডের অপব্যবহার রোধে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে সিইসি বলেন, “স্মার্ট কার্ডের যাতে কোনো প্রকার অপব্যবহার না হয়, কেউ যেন অপব্যবহার করতে না পারে সে বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”
সিইসি জানান, ২৭ জেলায় বিতরণের মাধ্য দিয়ে দেশের সব জেলায় স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হয়েছে।
“আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে সব নাগরিকের কাছে এটি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব,” বলেন সিইসি।
স্মার্ট কার্ডের যত্ন নেওয়া ও অপব্যবহার রোধের আহ্বান জানিয়ে কে এম নূরুল হুদা বলেন, “তিনি বলেন, এটি সাথে থাকলে মনে করবেন আপনি পৃথিবীর সাথে আছেন। এটা যদি সাথে থাকে তাহলে পৃথিবীর যেখানেই থাকবেন, সেখানেই আপনার পরিচিতি থাকবে। সুতরাং এটাকে যত্ন করে রাখবেন। এটার যাতে কোনো রকম অপব্যবহার না হয়।”
ভোলায় সিইসি কেএম নূরুল হুদা, ময়মনসিংহে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, শ্বশুর বাড়ি চাঁদপুরে মো. রফিকুল ইসলাম, নিজ জেলা নওগাঁয় কবিতা খানম, যশোরে শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, মুন্সিগঞ্জে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, মৌলভীবাজারে অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান এবং মাদারীপুর জেলায় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
দ্বিতীয় ধাপে ফরিদপুরের ভাংগা এবং বাকি ২৬টি জেলার সদর উপজেলাগুলোতে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হচ্ছে।
যেসব সদর উপজেলায় কার্ড বিতরণ করা হবে সেগুলো হল- মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, শেরপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ফেনী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, চুয়াডাংগা, মাগুরা, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, যশোর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, ভোলা এবং মৌলভীবাজার।
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে গোপালগঞ্জ, বগুড়া, পটুয়াখালী, কক্সবাজার, নোয়াখালী, পাবনা, গাইবান্ধা ও নেত্রকোণাসহ ২৭ জেলায় স্মার্ট কার্ড বিতরণ উদ্বোধন করা হয়।
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আওতাধীন আইডিইএ প্রকল্পটি নাগরিকদের স্মার্ট কার্ড দিয়ে আসছে।
বিশ্ব ব্যাংক ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপির সহায়তায় আইডিইএ প্রকল্পের আওতায় ২০১১ সালের জুলাইয়ে নয় কোটি নাগরিককে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার চুক্তি হয়।
২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ঢাকার দুই সিটির সঙ্গে কুড়িগ্রামের বিলুপ্ত ছিটমহলের নাগরিকদের মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হয়। পরবর্তীতে সব সিটি করপোরেশনেও বিতরণ হয়।
ঢাকঢোল পিটিয়ে বিতরণ কাজ শুরু হলেও অর্ধেকের বেশি সময় পার হয়েছে শম্বুকগতিতে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্মার্ট কার্ড বিতরণের হার খুবই ‘হতাশাজনক’।
এই পর্যায়ে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে শেষ হতে যাওয়া প্রকল্পটির মেয়াদ চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
বর্তমানে দেশে ১০ কোটি ১৮ লাখের বেশি ভোটার রয়েছে। আগামী বছর একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে মৃতদের বাদ ও নতুনদের যোগ করে এ সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ১০ কোটি ৪৬ লাখে।
আরও খবর