ইবনে সিনা ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার পেছনে অবৈধ সম্পদ ব্যবহার এবং এর ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
Published : 26 May 2017, 12:03 AM
অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইবনে সিনা ট্রাস্টের কার্যালয়ে যান।
সেখানে দেড় ঘণ্টা অবস্থান করে ইবনে সিনায় দায়িত্বরত একাধিক কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা।
যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া মীর কাসেম আলী ছিলেন ইবনে সিনা ট্রাস্টের অন্যতম সদস্য। ১৯৮০ সালে যাত্রা শুরু করা এই ট্রাস্টের অধীনে ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস, ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ ১৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সৈয়দ ইকবাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইবনে সিনা ট্রাস্টে আমাদের একটা অনুসন্ধান চলছে। সেখানে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ আছে, তার মধ্যে ট্রাস্টি বোর্ডে যারা আছেন তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
“এছাড়া যখন তারা প্রতিষ্ঠানটি করেন, এর পেছনে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ থেকে করেছেন বলে অভিযোগও রয়েছে।”
তিনি বলেন, “এসব অভিযোগ সংক্রান্ত বিভিন্ন কাগজপত্র চেয়েছি, ওনাদের ব্যক্তিগত সম্পদ যা আছে, সেই বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত চেয়েছি। কীভাবে ট্রাস্ট করা হয়েছিল এবং এর পেছনের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে।”
ইবনে সিনার ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) শফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে, “আমাদের ট্রাস্টি বোর্ডের কেউ ঢাকায় নেই। যে কারণে দুদক দলের সঙ্গে ওনাদের কারও দেখা হয়নি। তবে ইবনে সিনার নির্বাহী পরিচালক ফয়েজ উল্লাহ ও অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল অলিউর রহমান, মহাব্যবস্থাপকের সেক্রেটারি নুরুল করিম, জিএম (মার্কেটিং) এটিএম তাজুল ইসলাম, ডিজিএম (হিসাব) জিএম মাসুদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কথা বলেছেন।”
ইবনে সিনা ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে তথ্য অনুযায়ী অবসরপ্রাপ্ত কমোডর মো. আতাউর রহমান ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন।
ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা হলেন- শাহ আবদুল হান্নান, আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুস জাহের, শামসুদ্দিন আহমদ, ডা. চৌধুরী মাহমুদ হাসান, ডা. একেএম ছদরুল ইসলাম, কাজী হারুন-অর-রশিদ ও সাবেক সচিব মিয়া মোহাম্মদ আয়ূব।