বাংলাদেশের ৪৯ শতাংশ স্কুলশিক্ষার্থী ইন্টারনেটের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হয় বলে এক জরিপের বরাত দিয়ে জানিয়েছে টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিনর গ্রুপ।
Published : 09 Feb 2016, 06:09 PM
শিক্ষার্থীদের অনলাইনে কার্যক্রম ও আচরণ বিষয়ে ‘নিরাপদ ইন্টারনেট’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
টেলিনর গ্রুপের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলোসহ বিভিন্ন এলাকার ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী একহাজার ৮৯৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ইন্টারনেট বিষয়ক জ্ঞান নিয়ে চালানো জরিপে এসব তথ্য উঠে আসে।”
‘সাইবারবুলিয়িং’ বা সাইবার হয়রানিসহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন বিষয়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করে এই গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
প্রভাব বিস্তারকারী আচরণের ধরণ বুঝতে, শিশুদের জন্য ইন্টারনেটকে নিরাপদ করে তুলতে এবং এবিষয়ে কার্যকরী সমাধানের জন্য এ গবেষণা চালানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশুদের ইন্টারনেটে সহজে প্রবেশাধিকারের কারণে বাবা-মায়েদের কাছে আলোচিত ও শঙ্কার একটি বিষয় হচ্ছে ‘সাইবারবুলিয়িং’।
“বাংলাদেশের ৪৯ শতাংশ স্কুল শিক্ষার্থীর অনলাইন বা অফলাইনে একই ব্যক্তির দ্বারা হয়রানি বা উত্ত্যক্ত হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। অথবা তারা নাম প্রকাশ না করে অনলাইনে নিজেরা একে অন্যকে উত্ত্যক্ত করেছে।
“অনেক শিশুই অনলাইনে শব্দ ব্যবহারের প্রভাব সম্পর্কে বুঝে উঠতে পারে না।”
জরিপের আওতায় আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪৯ শতাংশই ‘পারিপার্শ্বিক চাপের কারণে একবার হলেও’ এ ধরনের কাজ করেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোশ্যাল নেটওয়ার্কে সহজে প্রবেশের সুযোগ থাকায় শিশুরা পারিপার্শ্বিক চাপের কারণে তাদের জন্য অনুপযোগী ওয়েবসাইট ভিজিট করছে কিংবা অনলাইনে অশালীন ভাষা ব্যবহার করছে।
সাইবার জগতে নেতিবাচক অভিজ্ঞতা সামাল দিতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা নিয়ে জানতে চাইলে ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী বলেছে, তারা মনে করে নিজেরা অথবা বাবা-মা ও শিক্ষকদের সঙ্গে পরামর্শ করে সমাধান করতে পারবে।
ওয়েবসাইটে মাদক, অস্ত্র, আত্মহত্যা এবং আত্মঘৃণার প্রচারণা চালানোর মতো ইন্টারনেটে নতুন কিছু ঝুঁকি বেড়ে গেছে। তবে স্কুলশিক্ষার্থীরা এগুলোকে খুব একটা হুমকি মনে করে না; তাদের বেশিরভাগ এ ধরনের ওয়েবসাইট এড়িয়ে চলে জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জরিপের আওতায় আসা ৬১ শতাংশ শিক্ষার্থী জানায়, তারা অনলাইনে ‘সেক্সটিং’ নামে পরিচিত অশোভন কোনো বার্তা পাঠাবে না।
দেশজুড়ে পরিচালিত জরিপ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে জরিপকৃত শিক্ষার্থীর মাত্র ৩৮ শতাংশ অনলাইনের সমস্যার সমাধান করতে না পেরে বাবা-মা ও শিক্ষকদের দ্বারস্থ হয়।
বাংলাদেশে শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের বেশিরভাগ মালিকানা টেলিনরের হাতে; ৫৫ দশমিক ৮ শতাংশ শেয়ার।