বাংলাদেশে কোনো উৎসব ও পার্বণ কখনো ধর্মের গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকেনি মন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ধর্ম যার যার হলেও উৎসব সবার।
Published : 22 Oct 2015, 02:51 PM
বৃহস্পতিবার শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমীতে বঙ্গভবনে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পূজার শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আবদুল হামিদ বলেন, “দুর্গাপূজা কিংবা অন্যান্য পার্বণ বাংলার শাশ্বত ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির গভীর থেকে উৎসারিত, তাই এসব উৎসব কখনও ধর্মের গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকেনি।
“ধর্ম সম্প্রদায়ের, কিন্তু উৎসব সার্বজনীন। ঐক্যবোধ আর ধর্মনিরপেক্ষতা এ দেশের মানুষের ধর্ম।”
দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, “সমাজে অন্যায়, অশুভ ও অসুর শক্তি দমনের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ পূজা হয়।
“আবহমান কাল ধরে এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে নানা উপাচার ও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুর্গাপূজা পালন করে আসছে। এ উৎসব সার্বজনীন।”
বাঙালি জাতি ‘অসাম্প্রদায়িক ও আলোকিত এক ঐতিহ্যের’ গর্বিত অংশীদার মন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি বলেন, “এই ঐতিহ্য আমাদের মনে আলোকবর্তিকা হয়ে কাজ করে।”
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ন রেখে জাতীয় উন্নয়নে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান আবদুল হামিদ।
“আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি এবং ধর্মের মূলবাণী আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে উদ্বুদ্ধ করুক,” বলেন তিনি।
ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ, নেপালের রাষ্ট্রদূত হরি কুমার শ্রেষ্ঠ, রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুবেশানন্দ মহারাজসহ হিন্দু ধর্মীয় নেতা এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, শিল্পী রথীন্দ্র নাথ রায় ও চিকিৎসক অরূপ রতন চৌধুরীও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ।
অন্যদের মধ্যে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান।