২০২২ সালে পাঁচশ কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ, তালিকায় মাদক, সোনা, অস্ত্র

গতবছর বিজিবির জব্দ করার চোরাই পণ্যের পরিমাণ কমে আগের বছরের তুলনায় অর্ধেক হয়েছে।

গত বছর দেশের সীমান্ত এলাকাগুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় পাঁচশ কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ করার কথা জানিয়েছে বিজিবি, জব্দ পণ্যের তালিকায় আছে সোয়া কোটি ইয়াবা, এমনকি মর্টার শেলও।

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানিয়েছে , গত এক বছরে বিভিন্ন ধরনের মাদক পাচার এবং চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ হাজার ৯৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে তারা।

এছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ২ হাজার ৮৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক এবং ১১৭ জন ভারতীয় নাগরিককে আটক করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ২০২২ সালে ৫০০ কোটি টাকার চোরাচালানের পণ্য জব্দ করা হয়েছে। ২০২১ সালে জব্দ হয়েছিল এক হাজার ৭৩ কোটি টাকার পণ্য।

এই হিসাবে এক বছরে বিজিবির জব্দ করার চোরাই পণ্যের পরিমাণ কমে অর্ধেক হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজিবির অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৪৬টি পিস্তল, ৯টি রাইফেল, ৫টি রিভলভার, ৭৯টি বিভিন্ন ধরনের বন্দুক, ৫ হাজার ৩৪৫ রাউন্ড গোলাবারুদ, ২৪টি মর্টার শেল, ২০টি ককটেল ও ৯৯৯ কেজি বিস্ফোরক।

আর জব্দ করা মাদকের মধ্যে এক কোটি ২৭ লাখ ৭৮ হাজার ১০০ ইয়াবা ট্যাবলেট, ৭৭ কেজি ৬৯০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ, ৩ লাখ ১৬ হাজার ১৫৭ বোতল ফেনসিডিল, এক লাখ ৮২ হাজার ৯৩২ বোতল বিদেশি মদ, ৩৭ হাজার ১২৬ ক্যান বিয়ার, ২৮ হাজার ৬৭২ কেজি গাঁজা, ৭২ কেজি ১৫৯ গ্রাম হেরোইন রয়েছে।

বছরজুড়ে বিজিবির নানা অভিযানে নেশা জাতীয় ও উত্তেজক ইনজেকশন, এ্যানেগ্রা ও সেনেগ্রা ট্যাবলেট এবং বিভিন্ন প্রকার ওষুধও জব্দ হয়েছে।

জব্দ হওয়া চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১৯৪ কেজি ৯৯৩ গ্রাম সোনা, ২৭৯ কেজি ১৬২ গ্রাম রূপা, এক লাখ ৫৭ হাজার ৩০৯টি শাড়ি, ৫৯ হাজার ৯৩৯টি থ্রিপিস ও শার্টপিস, তৈরি পোশাক, থান কাপড়, কসমেটিক্স সামগ্রী, কাঠ, চা পাতা, কয়লা, পাথর, ইমিটেশন গহনা, কষ্টি পাথরের মূর্তি, কারেন্ট জাল, কচ্ছপের হাড়।

এসব ছাড়াও ৭৩টি ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান, ৪৪টি প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস, ১০৬টি পিকআপ, ৩৪০টি অটোরিকশা, ইজিবাইক এবং ৮২৪টি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে বিজিবি।