একাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের মধ্যে বাছাইয়ে বাদ পড়া ৮২ জন নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন।
Published : 03 Dec 2018, 07:02 PM
সোমবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এসে আপিল আবেদন জমা দেন তারা।
এদের মধ্যে বিএনপির মীর নাছির উদ্দিন, গোলাম মওলা রনি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের রেজা কিবরিয়ার পাশাপাশি স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হিরো আলমও রয়েছেন।
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার কমিশনে এলেও মঙ্গলবার আপিল করবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
তিনটি আসনের সব ক’টিতে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে কোনো আপিল আবেদন হয়নি।
২ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন। সারাদেশে দাখিল করা ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর ২ হাজার ২৭৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ এবং ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, “যেসব মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষিত হয়েছে, সেসব প্রার্থীরা তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেতে ৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত কমিশনে আপিলের সুযোগ পাবেন। ৬, ৭, ৮ ডিসেম্বর আপিল শুনানি করে নিষ্পত্তি করবে কমিশন।”
প্রথম দিনের৮১ জনই নিজেদের মনোনয়নপত্র বৈধ করার জন্য আবেদন করেছেন। শুধু নেত্রকোনা-১ আসনের বৈধ প্রার্থী মানো মজুমদারকে ‘ঋণখেলাপি’ উল্লেখ করে তার প্রার্থিতা বাতিলের জন্য আবেদন করেছেন শাহ কুতুবুদ্দীন আহমদ।
প্রথম দিন আবেদন করলেন যারা
ঢাকা-১ খন্দকার আবু আশফাক, পটুয়াখালী-৩ গোলাম মাওলা রনি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ শামসুল হুদা, বগুড়া-৭ খোরশেদ মিলটন, খাগড়াছড়ি-আবুল ওয়াদুদ ভুইয়া, রাঙ্গামাটি- অমর কুমার দে, ঝিনাইদহ-১ আ. ওয়াহাব, ঢাকা-২০ তমিজউদদীন, সাতক্ষীরা-২ মো. আফসার আলী, কিশোরগঞ্জ-২ মো. আক্তারুজ্জামান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ তৈয়ব আলী, মাদারীপুর-৩ আব্দুল খালেক, দিনাজপুর-২ মোকাররম হোসেন।
ঝিনাইদহ-২ আব্দুল মজিদ, মাদারীপুর-৩ আব্দুল খালেক, দিনাজপুর-২ মোকারম হোসেন, ঝিনাইদহ-২ অব. লেফটেন্যান্ট আব্দুল মজিদ, দিনাজপুর-৩ সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর-৪ ফরিদুল কবির তালুকদার।
পটুয়াখালী-৩ মো. শাহাজাহান, পটুয়াখালী-১ মো. সুমন, দিনাজপুর-১ পারভেজ হোসেন, মাদারীপুর-১ জহিরুল ইসলাম মিন্টু, সিলেট-৩ কাইয়ুম চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও-৩ এস এম খলিলুর রহমান, জয়পুরহাট-১ মো. ফজলুল রহমান।
পাবনা-৩ হাসাদুল ইসলাম, ফেনী-১ মিজানুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-৩ ড. মিজানুল হক, ময়মনসিংহ-৪ আবু সাঈদ মহিউদ্দিন, নেত্রকোনা-১ মো রুবেল ইসলাম, পঞ্চগড়-১ তৌহিদুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-২ এনামুল হক খান, মানিকগঞ্জ-২ আরিফুর রহমান খান, খুলনা-২ এস এম এরশাদুর উজ্জামান, নটোর-১ নীরেন্দ্রনাথ শাহা, সিরাজগঞ্জ-৩ আইনাল হক, ঢাকা-১ আইয়ুব খান, বগুড়া-৩ আব্দুল মুহিত, গাজীপুর-২ মাহবুব আলম।
বগুড়া-৬ এ কে এম মাহাবুবুর রহমান, গাজীপুর-২ মো. জয়লান আবেদীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ জেসমিন নুর বেবী, রংপুর-৪ মোস্তফা সেলিম, খুলনা-৬ এস এম শফিকুল আলম, বগুড়া-৪ মো. আশরাফুল হোসেন (হিরো আলম), হবিগঞ্জ-২ মো. জাকির হোসেন, হবিগঞ্জ-১ জোবাইর আহম্মেদ, ঢাকা-১৪ সাইফুদ্দিন আহম্মেদ, সাতক্ষীরা-১ মুজিবুর রহমান, ময়মনসিংহ-৭ জয়নাল আবেদীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আব্দুল্লাহ আল হেলাল।
ময়মনসিংহ-২ মো আবু বক্কর সিদ্দিক, শেরপুর-২ এ কে এম মোখলেছুর রহমান, হবিগঞ্জ-৪ মওলানা মো সোলাইমান খান, নাটোর-৪ আলাউদ্দিন মৃধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ মো, বশির উল্লাহ, নওগা-৪ মো. আফজাল হোসেন, কুড়িগ্রাম-৪ ইউনুস আলী, বরিশাল-২ আনিসুজ্জামান, ঢাকা-৫ সেলিম ভুইয়া, ঝিনাইদহ-৩ কামরুজ্জামান, মৌলভীবাজার-২ মহিবুল কাদির চৌধুরী, কুমিল্লা-৩ কে এম মুজিবুল হক, মানিকগঞ্জ-১ তোজাম্মেল হক।
সিলেট-৫ ফয়েজুল মনির চৌধুরী, ময়মনসিংহ-৩ আহম্মেদ তাইবুর রহমান, চট্টগ্রাম-৫ মীর নাছির উদ্দিন, ঝিনাইদহ-৪ আব্দুল মান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ সৈয়দ আহম্মদ লিটন, ফেনী-৩ হাসান আহম্মদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ মামুনুর রশিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আবু আসিফ আহম্মদ, ঢাকা-১৪ জাকির হোসেন, ময়মনসিংহ-১০ হাবিবুল্লাহ বেলালী, পঞ্চগড়-২ ফরহাদ হোসেন আজাদ, জামালপুর-৪ মামুনুর রশিদ।
মানিকগঞ্জ-৩ আতাউর রহমান আতা, ময়মনসিংহ-৮ এম এ বাশার, ঢাকা-১৪ আবু বক্কর সিদ্দিক, বগুড়া-২ আবুল কাশেম, কুড়িগ্রাম-৩ আব্দুল খালেক, কুড়িগ্রাম-৪ মাহাফুজা রহমান ও নেত্রকোনা-১ শাহ কুতুব উদ্দিন তালুকদার।