দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা ভোটে দাঁড়াতে চাচ্ছেন, মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে তাদেরকে বহিষ্কারের মুখে পড়তে হবে হুঁশিয়ার করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
Published : 02 Dec 2018, 04:06 PM
রোববার দুপুরে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যা লয়ে তিনি বলেন, “মনোনয়ন নিয়ে এবার অন্যান্য বারের মত নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া অনেক কমে যাবে। তবে শেষ পর্যন্ত যারা (মনোনয়ন) প্রত্যাহার করবে না, তাদের ক্ষেত্রে আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে বহিষ্কার । যেই জোর করবে তাদের বিরুদ্ধেই এমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এখনও আওয়ামী লীগের অনেক প্রার্থী মনোয়ন নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন, এলাকায় কাজ করতে পারছেন না, এটা কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে কাদের বলেন, “মনোয়য়ন তো ঢাকায় হবে, কাজেই প্রার্থীতার জন্য ঢাকায় থাকতেই হবে। তবে এই মুহূর্তে ঢাকা আছেন এমন প্রার্থীর সংখ্যা বেশি নেই।’’
মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের শেষ দিন রোববার দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন কেমন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যাদের মনোনয়ন নিশ্চিত তারা দল থেকে তেমন ইঙ্গিত পেয়েছেন। আমরা দলীয়ভাবে কিছু কিছু ইঙ্গিত তো দিয়েছি। তারা এলাকায় আছেন, কাজ করছেন।”
নির্বাচনের মধ্যেও বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচির হুমকির বিষেয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমরা বার বার একই কথা বলছি, যারা নির্বাচনের এক মাস আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পরিবর্তন চায়, তারা নির্বাচন থেকে সরে যেতে চায়।
“তারা মাথা ছাড়া নির্বাচন করছে। একজনকে ঘিরেই যেকোনো দেশে নির্বাচনটা আবর্তীত হয়। সেটা হল যিনি দলের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন। এখানেই তো তাদের ফলাফল হয়ে গেছে। তাদের কোনো নেতৃত্ব নেই। বিএনপিও ইঙ্গিত দিয়েছিল ড. কামাল হোসেন সাহেব ঐক্য ফ্রন্টের নেতা। এখন ঐক্য ফ্রন্টের নেতাই তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন না। এরা হলেন মাথা ছাড়া নেতৃত্ব।”
তিনি আরও বলেন, “কামাল হোসেন সাহেব তো আর দৃশ্যপটে নেই। তিনি ইলেকশন করছেন না। আমি মনে করি, ঐক্য ফ্রন্ট নির্বাচনের আগেই তাদের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচনে হেরে যাচ্ছেন। তাদের পরাজয়ের যে আগাম ইঙ্গিত তাদের প্রধানমন্ত্রী পদে না থাকা।”
রাজনৈতিক দৃশ্যপটের কোনো পরিবর্তন আসতে পারে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “নির্বাচনটা হবে। তবে আগামী নির্বাচনে কারা জিতবে সেটা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার হবে।”
‘গণগ্রেপ্তার’ নিয়ে ইসিতে বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে কাদের বলেন, “সারা বাংলাদেশে কোথাও কোনো খারাপ আভাস নেই। এই সিটিতে কোথাও কোন ভায়োলেন্স হয়েছে? ইন্টারনাল ম্যাটার নিয়ে, ক্ষোভ-দু:খ নিয়ে ছিটেফোটা সমস্যা কিছু কিছু জায়গায় হয়েছে, কিন্তু নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার মত কোনো ঘটনা ঘটেনি।
“স্পেসিফিক্যালি মির্জা ফখরুল সাহেবকে বলতে হবে, সিডিউল ঘোষণার পর কারা কারা গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি অন্ধকারে ঢিল ছুড়বেন, এটা কি বিশ্বাস করতে হবে? পল্টনের ঘটনায় যারা ভায়োলেন্স করছে তাদের বিরুদ্ধে তো ব্যবস্থা নিতেই হবে ।”
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।