একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সারা দেশের মত ঢাকা মহানগরীর সম্ভাব্য প্রার্থীরাও ভিড় করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে।
Published : 28 Nov 2018, 02:13 PM
সেগুনবাগিচায় রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে বুধবার সকাল ৯টায় মনোনয়পত্র নেওয়া শুরু হয়। বেলা ১১টার দিকে বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং তাদের কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতিতে পুরো এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে।
ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার কে এম আলী আজম ঢাকা মহাগরীর ১৫টি আসনের রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় ৫ থেকে ৭ জনের বেশি কর্মী-সমর্থক সঙ্গে না আনতে ইসির পক্ষ থেকে বিধিনিষেধ দেওয়া হলেও অনেকেই তা মানছেন না।
বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-১০ আসনে মনোনয়পত্র জমা দেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
তার আগে বিএনপির সাইফুল আলম নিরব প্রতিনিধির মাধ্যমে এবং আনোয়ারুজ্জামান নিজে উপস্থিত হয়ে ঢাকা-১২ আসনের জন্য মনোনয়পত্র জমা দেন। বিএনপি এ আসনে নিরবকেই মনোনয়ন দিয়েছে।
ঢাকা-১৮ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাহারা খাতুন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে তিনি ‘শতভাগ আশাবাদী’।
বেলা পৌনে ১২টায় ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাদেক খান এবং বিএনপির আবদুস সালাম মনোনয়পত্র জমা দেন। এ আসনে সালামের সঙ্গে আতাউর রহমান ঢালীকেও মনোনয়নের প্রত্যয়ন দিয়ে রেখেছে বিএনপি।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে আসলামুল হক ঢাকা-১৪, মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ ঢাকা-১৬, একেএম রহমউল্লাহ ঢাকা-১১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
ঢাকা-১০ আসনের বর্তমান সাংসদ ফজলে নূর তাপস সাংবাদিকদের বলেন, “সারাদেশে নির্বাচনের উৎসব মুখর ও আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। আমি আশা করি সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন হবে।"
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের ‘লেভেল প্লেইং ফিল্ড’ নষ্ট হওয়ার মত কোনো কাজ সরকার করবে না।
বর্তমান এমপি জাহাঙ্গীর কবির নানককে ডিঙিয়ে ঢাকা-১৩ আসনের মনোনয়ন পাওয়া ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান বলেন, "বিগত আন্দোলন সংগ্রামে আমি রাজপথে ছিলাম। এ কারণে নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। জনগণ আজ নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ, নৌকাকে বিজয়ী করতে জনগণ মাঠে নেমেছে।"
একই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেন, "এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। আমার নির্বাচনী এলাকা মোহাম্মদপুর, আদাবরে আমার আর কোনো কর্মীকে যেন গ্রেপ্তার করা না হয়।"
নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়ে সালাম বলেন, "তিনি যেন মুক্তি পেয়ে জনগণের কাছে ভোট চাইতে পারেন। আমরাও মানুষের কাছে বলব, আপনার একটি ভোটে খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে।"
মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে নৌকার প্রার্থী সাদেক খানের সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে সালাম বলেন, "আমি উনাকে বলেছি, নির্বাচনী এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির স্বার্থে প্রয়োজনে আমরা এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে যার যার দলের পক্ষে ভোট চাইব।"