এক পুলিশ কর্মকর্তা ও হামলাকারীদের মধ্যে তিনজন নিহত হয়েছেন।
Published : 16 Jan 2024, 04:54 PM
সাঁজোয়া যান নিয়ে কসোভোর উত্তরাঞ্চলীয় একটি গ্রামে হামলা চালিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে সার্ব বন্দুকধারীরা; এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন অন্তত চারজন।
কসোভোর সার্ব প্রধান অঞ্চলের বানসকা গ্রামে এবং নিকটবর্তী একটি সার্বিয়ান অর্থোডক্স মঠে রোববার এ ঘটনা ঘটে। বন্দুকধারীরা মঠে অবস্থান নিয়ে গোলাগুলি চালিয়ে যায়; খ্রিষ্টীয় মঠটির সন্ন্যাসী ও পুণ্যার্থীরা সে সময় পাশের গির্জায় লুকিয়ে ছিলেন।
কসোভো ও সার্বিয়া কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ ঘটনায় এক পুলিশ কর্মকর্তা ও হামলাকারীদের মধ্যে তিনজন নিহত হয়েছেন।
সার্বিয়ার সাবেক প্রদেশ কসোভোর ১৮ লাখ জনসংখ্যার অধিকাংশই জাতিগতভাবে আলবেনীয়। ২০০৮ সালে কসোভো স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও উত্তরাঞ্চলের প্রায় ৫০ হাজার সার্ব বাসিন্দা তা মেনে নেয়নি। সার্বিয়ার দমনমূলক শাসনের বিরুদ্ধে আলবেনীয় গেরিলাদের বিদ্রোহের দুই দশক পরও তারা বেলগ্রেডকেই তাদের রাজধানী হিসেবে দেখে।
কসোভোর সার্বদের একটি দল বানসকা গ্রামের একটি সেতুর ওপর ট্রাক নিয়ে অবস্থায় নেয়, তারা তাদের দিকে এগোতে থাকা পুলিশের ওপর গুলি ছোড়ে। তারপর সার্বদের দলটি নিকটবর্তী মঠে গিয়ে অবস্থান নিয়ে পুলিশের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকে।
সার্বিয়ান অর্থোডক্স গির্জা জানিয়েছে, রাতে বন্দুকধারীরা মঠ ছেড়ে চলে যায়। তবে তারা কোথায় গেছে তা স্পষ্ট হয়নি।
সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার ভুচিক বলেছেন, এ ঘটনা কসোভোর প্রধানমন্ত্রী আলবিন কুর্তির বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহ।
“আপনারা আমাদের সবাইকে মেরে ফেললেও সার্বিয়া কখনো স্বাধীন কসোভোর স্বীকৃতি দেবে না,” বলেছেন তিনি।
তবে তিনি পুলিশ কর্মকর্তা হত্যার নিন্দা করেছেন এবং কসোভোর সার্বদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
কসোভো পুলিশ জানিয়েছে, গোলাগুলির ঘটনায় তাদের এক কর্মকর্তা নিহত হওয়ার পাশাপাশি তিন সদস্য আহত হয়েছেন। ওই মঠে এখনও কেউ লুকিয়ে আছে কিনা, তা দেখছে পুলিশ।
কসোভোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জালার স্লেসলা জানিয়েছেন, পুলিশ ওই মঠে বিপুল সংখ্যক ভারী অস্ত্র, বিস্ফোরক ও উর্দি পেয়েছে। এসব থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, বন্দুকধারীরা ব্যাপক হামলার প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিল।সংবাদসূত্র: রয়টার্স
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)