রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ১০ বছর জেলে রাখার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ইমরানের

ইমরান বর্তমানে ১৫ দিনের সুরক্ষা জামিনে আছেন। এই সময়ে তাকে গ্রেপ্তার করা যাবে না।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 May 2023, 01:22 PM
Updated : 15 May 2023, 01:22 PM

পাকিস্তানের বর্তমান জোট সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় তাকে ফাঁসিয়ে ১০ বছরের জন্য কারাবন্দি করে রাখার পরিকল্পনা করেছে বলে ‍অভিযোগ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

টুইটারে পোস্ট করা এক বার্তায় ইমরান এ অভিযোগ করেছেন। একে ‘লন্ডন প্ল্যান’ বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। সোমবার ভোররাতের দিকে ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘পুরো লন্ডন পরিকল্পনা এখন প্রকাশ্যে এসেছে।”

আমি যখন কারাগারে ছিলাম তখন সহিংসতার অভিযোগ তুলে তারাই বিচারক, জুরি ও জল্লাদের ভূমিকা গ্রহণ করেন। এখন তাদের পরিকল্পনা বুশরা বেগমকে কারাবন্দি করে আমাকে অপমান করা এবং আগামী ১০ বছর আমাকে কারাগারের ভেতরে আটকে রাখতে রাষ্ট্রদ্রোহের আইনগুলোর ব্যবহার করা।”

গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাই কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে ইমরানকে নাটকীয়ভাবে গ্রেপ্তার করেছিল দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো-এনএবি।

ইমরানকে গ্রেপ্তারের পরপরই তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ-পিটিআই এর কর্মীসমর্থকরা দেশজুড়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলেন। দুইদিন ধরে বিভিন্ন সরকারি ও সামরিক স্থাপনায় ভাংচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা, অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।

ইমরানকে যতটা নাটকীয়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ততটা নাটকীয়ভাবে তিনি ছাড়াও পান। গ্রেপ্তারের দুইদিন পর গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সুপ্রিম কোট আইএইচসি প্রাঙ্গণ থেকে পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতার গ্রেপ্তারকে ‘অবৈধ ও বেআইনি’ বলে উল্লেখ করে। পরে ইসলামাবাদ হাই কোর্ট থেকে তিনি জামিন পান।

জিও নিউজের খবরে বলা হয়, গত শুক্রবার সাবেক এই ক্রিকেট তারকা তার বিরুদ্ধে হওয়া আটটি মামলায় জামিন পেয়েছেন। সরকার অন্য কোনো মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে তাকে আদালত বৃহত্তর সুরক্ষাও দিয়েছে।

বলেছে, আপাতত ইমরানকে ১৫ দিনের সুরক্ষামূলক জামিন দেওয়া হয়েছে এবং ৯ মে-র পরে দায়ের করা কোনো মামলায় তাকে গ্রেপ্তার না করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ওদিকে, ক্ষমতাসীন পিডিএম জোট পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি  উমর আতা বান্দিয়ালের বিরুদ্ধে ইমরানকে ‘অযাচিত সুবিধা’ দেওয়ার অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের বাইরে প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা করেছে।

একে নাটক বলে উল্লেখ করে ইমরান আরো লেখেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের বাইরে জেইউআই-এফ এর নাটকের একটাই মাত্র উদ্দেশ্য, তা হল, পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির উপর চাপ সৃষ্টি করা যাতে তিনি সংবিধান অনুযায়ী রায় দিতে না পারেন।”

পাকিস্তানের জনগণের উদ্দেশে তিনি লেখেন, শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে তিনি ‘স্বাধীনতার অধিকারের’ পক্ষে লড়ে যাবেন।